সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্যত চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথে ব্রিটেন৷ মসনদ থেকে টেরেসা মে’র প্রস্থানেও কাটছে না জট৷ প্রধানমন্ত্রী পদে বসে মুখে আত্মবিশ্বাস দেখালেও, হালে পানি পাচ্ছেন না মে’র উত্তরসূরী বরিস জনসন৷ এবার ব্রিটিশ কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী জনসনকে রফাসূত্র খুঁজে বের করতে ৩০ দিন সময় দিলেন জার্মানির চান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল৷ এর অন্যথায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিনা চুক্তিতে প্রস্থান করতে হবে ব্রিটেনকে৷
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আশায় জল, আফগানিস্তান থেকে সরছে না মার্কিন ফৌজ]
বুধবার বার্লিনে অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বরিস জনসন৷ জি-৭ সামিটের আগে এই সাক্ষাৎকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ সম্প্রতি, ব্রেক্সিট নিয়ে জার্মানি-সহ অন্যান্য ইইউ সদস্যদের সঙ্গে কূটনৈতিক চাপানউতোর চলছে ব্রিটেনের৷ সমাধান খুঁজতে অসমর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাও দেন টেরেসা মে৷ তারপরই কনজারভেটিভ দলের রাশ ধরেন জনসন৷ তবে তাঁর কাছেও যে পথ খুব সুগম নয়, তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মর্কেল৷
এদিন ব্রেক্সিট নিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য চুক্তির খসড়া তৈরির দায় জনসনের কাঁধেই চাপিয়ে দিলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ তিনি বলেন, ‘৩০ দিনের মধ্যে রফাসূত্র বের করুক ব্রিটেন৷ তাদের অন্তর্গত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এবং রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড সীমায় ব্রেক্সিট সংক্রান্ত জটিলতা মোকাবিলায় খসড়া তৈরি হলে বাকি সমস্যাও মিটে যাবে৷ ব্রিটেন আগেও বহু সমস্যার সমাধান করেছে৷ তারা এই জটও খুলতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি৷’এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, মর্কেলের একটি বিখ্যাত উক্তি আউড়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা করে নেব’৷
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শরণার্থী সমস্যার সময় উদ্বাস্তু সিরীয়দের আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গে হুবহু এই মন্তব্যই করেছিলেন মর্কেল৷ তারপর বাকিটা ইতিহাস৷ এদিকে, আজই ফ্রান্স পৌঁছে গিয়েছেন জনসন৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জনসন৷ তবে সেই সাক্ষাতেও কাঁটা থাকছে৷ কারণ আগেই ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন করে আলোচনার আরজি উড়িয়ে দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট৷ সব মিলিয়ে কীভাবে এই জট খোলেন জনসন, তাই এখন দেখার৷
[আরও পড়ুন: হংকংয়ে হুলুস্থুলু, ব্রিটিশ কনসুলেটের কর্মীকে আটক করল চিন]
The post ব্রেক্সিট নিয়ে আরও বিপাকে ব্রিটেন, সমাধান খুঁজতে জনসনকে ৩০ দিন সময় দিলেন মর্কেল appeared first on Sangbad Pratidin.