shono
Advertisement

আমেরিকাকে বার্তা, দক্ষিণ চিন সাগরে প্রথমবার নামল চিনা বোমারু বিমান

বিতর্কিত অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য রাখতে মরিয়া বেজিং।
Posted: 03:31 PM May 19, 2018Updated: 03:46 PM May 19, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরকে নিজেদের হাতে রাখতে মরিয়া চিন। বিশ্বের অগোচরেই প্রথমবারের জন্য বিতর্কিত এই সাগরে বোমারু বিমান নামাল বেজিং। এই অঞ্চলকে জলপথে যেকোনও ধরনের হামলা থেকে রক্ষা করার জন্যই বোমারু বিমানের মহড়া চালাচ্ছিল পিপলস লিবারেশন আর্মির বায়ুসেনা। আর মহড়ার অংশ হিসাবেই বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে বোমারু বিমান নামিয়ে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের বার্তা দিতে চাইল লালচিন। এমনই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

[খুনের হুমকি পাচ্ছে হাফিজ সইদ, নিয়োগ হল নিরাপত্তাকর্মী]

জানা গিয়েছে, একাধিক এইচ-৬কে বোমারু বিমান নামানো হয়েছিল দক্ষিণ চিন সাগরে। ৩৫২৯ কিলোমিটার পর্যন্ত পাড়ি দিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম এই বোমারু বিমান। সম্পূর্ণ বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিতর্কিত সাগরের কোন দ্বীপে নেমেছিল চিনের বোমারুগুলি? যদিও সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। তবে ওয়াশিংটনের এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ জানাচ্ছে, সম্ভবত বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরের উডি দ্বীপে নামান হয়েছিল বোমারু বিমানগুলি। কারণ প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে এই দ্বীপেই রয়েছে চিনের সবচেয়ে বড় বায়ুসেনা ঘাঁটি।

[ন’মাসে রোহিঙ্গা শিবিরে জন্ম ১৬ হাজার শিশুর, চরমে শরণার্থী সমস্যা]

দক্ষিণ চিন সাগরে তাদের আধিপত্য কায়েম করতে এর আগেও চরম পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল বেজিংকে। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ চিন সাগরের স্পার্টলি দ্বীপে প্রথম মিসাইল সিস্টেম বসিয়েছিল তারা এবং এই দ্বীপকে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করেছিল বেজিং। পরপর চিনের এই পদক্ষেপগুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান যাত্রাপথে নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল চিন। একদিকে যেমন, এই পথ দিয়ে যাতায়াত করা সমস্ত দেশের বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপরে নজর রাখতে পারবে তারা। অন্যদিকে, নিশ্চিত করা গেল এই বিতর্কিত অঞ্চলের নিরাপত্তা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement