স্টাফ রিপোর্টার: জোড়া নিম্নচাপের প্রথম ধাক্কা কানের পাশ দিয়ে চলে যেতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয় নিম্নচাপে ব্যাপক বৃষ্টির আশঙ্কা বহালই থাকছে। আপাতত এই সপ্তাহ শেষে শনি-রবি ছাড় মিললেও মঙ্গলবার থেকে ব্যাপক বৃষ্টি (Heavy Rain) হওয়ার পূর্বাভাষ রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর মনে করছে, যার জের থাকতে পারে আরও ৪৮ ঘণ্টা। এদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। কলকাতার ভবানীপুর (Bhabanipur) ও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর। ফলে মঙ্গলবার থেকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ভোটের দিনও তার প্রভাব পড়তে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগে থেকেই বিপর্যয় মোকাবিলার যাবতীয় ব্যবস্থা তৈরি রাখছে প্রশাসন।
শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হবে। ওই দিন মূলত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টি, বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবারও এই বৃষ্টি চলতে পারে। তবে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি সম্ভবত হবে না। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, শনিবার থেকে বঙ্গোপসাগরের (Bay Of Bengal) উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি ক্রমশ নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে, সেটির মুখ ওড়িশা উপকূলের দিকে ঘুরে গিয়েছে। যে কারণে পূর্ব মেদিনীপুর ও উপকূলীয় জেলাগুলি ছাড়া অন্যত্র ভারী বৃষ্টি হবে না।
[আরও পড়ুন: দুর্যোগের মাঝে ত্রাণ বিলির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ২, পরিবারকে আর্থিক সাহায্য তৃণমূলের]
কিন্তু প্রথম নিম্নচাপ প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও পরেরটি কিন্তু ক্রমশ শক্তি বাড়াবে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর। পূর্বাঞ্চলীয় আবহাওয়া অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ২৬ সেপ্টেম্বর। এটি রাজ্যের উপকূলে এসে পৌঁছতে পারে ২৮ সেপ্টেম্বর। যার জেরে ওইদিন বৃষ্টির দাপট বাড়বে। ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: ‘বৃষ্টি হলে সতর্ক থাকুন’, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সাবধানবাণী মমতার]
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে প্রথম ঘূর্ণাবর্তটি সুষ্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেই কারণেই উপকূলীয় জেলায় রবিবার থেকে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। তাই ২৫ তারিখ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যে মৎস্যজীবীরা ইতিমধ্যে চলে গিয়েছেন, তাঁদের ২৫ তারিখের মধ্যে ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে।