নব্যেন্দু হাজরা: পৌষের শেষেই ফিরেছিল শীত। মাঘের শুরুতে আরও নামতে শুরু করেছে উষ্ণতার পারদ। শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। শুক্রবার আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একথা। আগামী দু’দিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে শৈত্যপ্রবাহ অনুভব করা যাবে বলেই মত হাওয়া অফিসের কর্তাদের। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে। জেলার ক্ষেত্রে তা ১০ ডিগ্রি থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, জানুয়ারির শুরুতে দু-একদিন শীত অনুভূত হলেও ধীরে ধীরে বেড়েছিল তাপমাত্রা। গত সোমবারই কলকাতার (Kolkata) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৯ ডিগ্রি। ভোরে হালকা শিরশিরানি অনুভূত হলেও বেলা বাড়তেই কার্যত গলদঘর্ম পরিস্থিতি হয়েছিল শহরবাসীর। জানুয়ারিতে ভরা গ্রীষ্মের মতো অনুভূতি হচ্ছিল সকলের। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, তবে কি আর দেখা মিলবে না শীতের? আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল, পৌষ সংক্রান্তির আগে ফের নামবে তাপমাত্রার পারদ। পূ্র্বাভাস সত্যি করে মঙ্গলবার থেকেই আবার ঠান্ডা পড়তে শুরু করে।
[আরও পড়ুন: সংক্রমণ কমলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যু, রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল]
বৃহস্পতিবার সকালে তিলোত্তমার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি। রাতে তা ছিল ১৫ ডিগ্রি। শুক্রবার সকালে সামান্য কুয়াশা পরে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তা স্বাভাবিক বলেই মত হাওয়া অফিসের আধিকারিকদের। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তা একই থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৭ শতাংশ।
কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা সর্তকতা রয়েছে। রবি ও সোমবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে।