নব্যেন্দু হাজরা: অবশেষে গরমের দাবদাহ থেকে মুক্তির পথে দক্ষিণবঙ্গ। স্বস্তি দিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিল, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গে ঢুকছে বর্ষা। চলতি সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণের সব জেলাতেই পৌঁছে যাবে মৌসুমী বায়ু।
মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টিতে ভেজে কলকাতা-সহ (Kolkata) একাধিক জেলা। ঘণ্টায় ৬৯ কিলোমিটার বেগে বইছিল ঝোড়ো হাওয়া। যার জেরে ব্যাহত হয় বিমান পরিষেবাও। এদিকে ঝড়বৃষ্টির সময় জমা জলে দাঁড়িয়ে বাতিস্তম্ভ ছুঁয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় হাওড়ার মনীষা সাউয়ের। আজও সকাল থেকেই শহরে মেঘলা আকাশ। এদিন হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি আজও বজায় থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক দফায় বৃষ্টি হতে পারে বেলার দিকে। আজ সকালে তিলোত্তমার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ৩৯.৪ মিলিমিটার।
[আরও পড়ুন: নিজের রেকর্ড ভাঙলেন নিজেই, জ্যাভলিনে নয়া নজির ‘সোনার ছেলে’ নীরজের]
এদিন সকালে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। সোনামুখীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। জখম আরও তিন। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বৃষ্টি সামান্য বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলতে পারে আগামী চার-পাঁচ দিন। বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা ক্রমে বাড়বে। তবে শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে। আপাতত নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ উত্তরবঙ্গ লাগোয়া জেলা এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত বেশি হতে পারে বলেই খবর।
তবে আগামী কাল উত্তরবঙ্গে (North Bengal) প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নামতে পারে ধসও। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ পার্বত্য এলাকায় ধস নামতে পারে। তিস্তা তোর্সা রায়ডাক-সহ নদীর জল স্তর বাড়বে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে শষ্যের ক্ষতি হতে পারে। শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।