নব্যেন্দু হাজরা: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে একেই বড়দিন কেটেছে একেবারে অন্যরকমভাবে। এবারে আর পার্ক স্ট্রিটে ভিড় জমানো কিংবা পিকনিকে যেতে সাহস পাননি অনেকেই। তারই মাঝে বেশ কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছিল তাপমাত্রাও। স্বাভাবিকভাবেই মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল শীতবিলাসীদের। তবে সপ্তাহান্তে শুরু হল শীতের দ্বিতীয় ইনিংস। ফের জাঁকিয়ে শীতের (Winter) দেখা মিলল রাজ্যে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী শনি এবং রবিবার দু’দিন রাজ্যে একই পরিস্থিতি থাকবে। রবি ও সোমবার তুষারপাতের সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতে। তাপমাত্রা নামতে পারে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। তার প্রভাবে ফের শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বাংলাতেও। শনিবার সকালে হালকা কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছিল কলকাতা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ডিগ্রি কম। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নিচে ছিল। ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তিলোত্তমার। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘যেদিন সত্যিই মারতে শুরু করব, ব্যান্ডেজ বাঁধার জায়গা পাবে না’, তীব্র হুঁশিয়ারি দিলীপের]
শনিবার উত্তর পশ্চিম ভারতে ঢুকছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। রবি ও সোমবারে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, মুজাফফরপুর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। ফের আরও এক দফায় শৈত্যপ্রবাহের দেখাও মিলতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে সোমবারের পর থেকে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লি জবুথবু হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও। তার প্রভাবে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বর্ষশেষে আরও এক দফায় কনকনে ঠান্ডার আমেজ ফিরতে পারে। দক্ষিণ ভারতের পূবালি হাওয়ার প্রভাব থাকবে। বর্ষশেষে তামিলনাড়ু এবং পণ্ডিচেরিতে বৃষ্টির সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না।