shono
Advertisement

২৩ তম সোনা জিতে পুলকে বিদায় জানালেন ফেল্পস

রবিবার দিনটা মাইকেল ফেল্পসের জীবনে নিঃসন্দেহে স্পেশাল হয়ে থাকবে৷
Posted: 12:01 AM Aug 15, 2016Updated: 06:41 PM Aug 14, 2016

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে বুমার ফেল্পসের বয়স মাত্র তিন মাস৷ বাবার কীর্তি চোখের সামনে থেকে সে দেখল বটে, কিন্তু কিছুই মনে থাকবে না তার৷ বড় হয়ে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা বাবার নাম পড়বে বুমার৷ জানতে পারবে, ২১২৮ বছর আগের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছিলেন তার বাবা৷ ২০১৬ সালে সাঁতারের স্বর্ণযুগের অবসান ঘটেছিল৷

Advertisement

রবিবার দিনটা মাইকেল ফেল্পসের জীবনে নিঃসন্দেহে স্পেশাল হয়ে থাকবে৷ চলতি ওলিম্পিকে পঞ্চম তথা শেষ সোনার পদকটি গলায় পরে সাঁতারের পুলকে বিদায় জানালেন মার্কিন ‘জলদানব’৷ আক্ষরিক অর্থেই স্বর্ণযুগ৷ কারণ ২৩টি ওলিম্পিক সোনা জয়ের কৃতিত্ব বিশ্বে আর কোনও সাঁতারুর তো নেই৷ তিনি চলাফেরা করলে জলও জীবন্ত হয়ে ওঠে৷ তাঁর বিদায়ে অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে গেল জল৷ তবে ফেল্পস যা রেখে গেলেন, তা আগামী অনেক যুগ যে অক্ষুণ্নই থেকে যাবে, তা আলাদা করে বলে দিতে হবে না৷

আবেগপ্রবণ ফেল্পস

গত ১৬ বছরে সাঁতারের সংজ্ঞাটাই পাল্টে দিয়েছেন ফেল্পস৷ ২০০০ সালে সিডনিতে প্রথমবার ওলিম্পিকের মঞ্চে নেমেছিলেন৷ তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫৷ সেবার কোনও পদক জিততে পারেননি৷ ২০০৪-এ এথেন্স ওলিম্পিক থেকে সেই যে জয়গাথা শুরু হল৷ যার ইতি ঘটল ২০১৬-র রিওতে৷ মানুষ হিসেবে কখনও আগামীদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, আবার সাঁতার কাটতে নেমে হয়ে উঠেছেন অতিমানবীয় একচরিত্র৷ দীর্ঘ কেরিয়ার থেকে অবসরের পর ৩১ বর্ষীয় ফেল্পস বললেন, “জলে নামতেই আজ গলাটা ধরে গিয়েছিল৷ শেষবার নামছি ভেবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম বলেই হয়তো এমনটা হল৷ ২০১২ সালের তুলনায় এবার অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি৷ সেটা অবশ্য মন্দ নয়৷ পিছন ফিরে তাকালে মনে হয়, যা যা পরিকল্পনা করেছিলাম, সবই করতে পেরেছি৷ চোট সারিয়ে ফেরাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল৷ তবে কেকের উপর চেরি ফলটি দেখতে চেয়েছিলাম৷ পুরো বিষয়টা দারুণভাবে শেষ হল৷”

মাঠের রাজা মেসি কিংবা ট্র্যাকের রাজা বোল্টের মতোই জলের রাজ্যের এই ‘গোল্ড ফিশ’ও অমর হয়ে থাকবেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement