রাজা দাস, বালুরঘাট: রাতের অন্ধকারে গাছে বেঁধে, পিটিয়ে (Lynching) খুন পরিযায়ী শ্রমিক। দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) গঙ্গারামপুরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য গ্রামে। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত গোটা গ্রাম। তবে কী কারণে তাঁকে এমন নৃশংসভাবে খুন করা হল, সে বিষয়ে অন্ধকারে সকলে।
জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুরের দু’মুঠো ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জুরুল হোসেন। তিনি ভিনরাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মাস খানেক আগে ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ কাশেম মোড় থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন মঞ্জুরুল। অভিযোগ, সেসময় তাঁর পথ আটকায় স্থানীয় রায় পরিবারের সদস্যরা। তাঁকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ির ভিতরেই দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে ফেলা হয় মঞ্জুরুলকে। তাঁর হাত-পা-মুখ সব বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় ব্যাপক মারধর। তাতেই প্রাণবায়ু নিভে যায় পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant labour)।
[আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের নাম করে পর্ন ভিডিও শুট! নিউটাউনের ঘটনায় অভিযোগ ২ যুবকের]
রাত দেড়টা নাগাদ খবর পাঠানো হয় মঞ্জুরুলের পরিবারকে। তাঁর দাদা আয়ুব আলি ছুটে যান। যে বাড়িতে ভাইকে বেঁধে রাখা হয়েছিল, তাঁদের অনুরোধ জানান যে কোনও সমস্যা হয়ে থাকলে সকালে তা মেটানো হোক, রাতে যেন ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই তিনি দেখেন, ভাই নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে যান দাদা। চিকিৎসকরা মঞ্জুরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: মাদুলি নিলে উধাও হবে করোনা! আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন বিভ্রান্তি ছড়ানো সেই ‘মাদুলিবাবা’]
আয়ুব আলি আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন, ”ওদের বলেছিলাম, ভাইয়ের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়ে থাকলে, সকালে মিটিয়ে নেবেন। এখন ভাইকে নিয়ে যেতে দিন। কিন্তু বুঝিনি যে ততক্ষণে ওরা আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে।” কেউ কেউ বলছেন, টাকাপয়সা নিয়ে ওই রায় পরিবারের সঙ্গে মঞ্জুরুলের একটা টানাপোড়েন চলছিল। তার জেরেই তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার (Gangarampur) পুলিশ।