দীপঙ্কর মণ্ডল: সদ্যই টিম পিকে এবং দলের প্রতি ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। মিহির গোস্বামীর (Mihir Goswami) সেই বিরোধিতার জেরে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে চাপানউতোর কম নয়। তারই মাঝে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিমান যেন ঝরে পড়ল তাঁর। দলনেত্রীর প্রতি আস্থা ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া আদতে কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন করলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলে (TMC) যোগদানের কারণ উল্লেখও করেন তিনি। কংগ্রেসকে হারাতেই যে তিনি তৃণমূলে আস্থা রেখেছিলেন, সেকথা দিয়েই শুরু করেন ফেসবুক পোস্ট। তবে তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যারা কুকথা বলেছেন, তারাই আবারও দলে যোগ দেওয়ায় বিরক্ত সেকথাও উল্লেখ করেছেন মিহির গোস্বামী। এত কিছুর পরেও তিনি দলনেত্রীর উপর আস্থা হারাননি বলেও দাবি করেন। দলের তরফে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর। এছাড়াও মিহির গোস্বামীর দাবি, দলে একাধিকবার অপমানিতও হতে হয়েছে তাঁকে। এদিনের ফেসবুক পোস্টেও নাম না করে টিম পিকের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান মিহিরবাবু। ‘ঠিকাদার থিংক ট্যাংক কোম্পানি ঢুকে পড়ে তছনছ করছে’ বলেও অভিযোগ তাঁর।
অমিত শাহের সফরের মাঝেই ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া থেকে ২ ব্যাটেলিয়ান সিআরপিএফ প্রত্যাহার
কিছুদিন আগেই সাংগঠনিক পদত্যাগ করার পর নিজের কার্যালয়ে লাগানো তৃণমূলের পতাকা-সহ সমস্ত ব্যানার খুলে ফেলেন মিহিরবাবু। কার্যালয়ের সামনে নতুন ব্যানারে লেখা হয়, “কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর কার্যালয়”। ধর্মসভার সেই কার্যালয়ের ভিতরে থাকা মুখ্যমন্ত্রী ছবি সরিয়ে সেখানে স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মনীষীদের ছবি লাগানো হয়। পিকের সংস্থা “আইপ্যাক”-এর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিধায়ক। এসবের পর বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে। তারই মাঝে আবারও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট নিয়েই চলছে জোর জল্পনা।