প্রণব সরকার, আগরতলা: ত্রিপুরায় (Tripura) ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। এপর্যন্ত ৭ দিনে অপহৃত হয়েছেন ৪ জন। গত সোমবার রাতে অপহরণ করা হয়েছে ৩ জনকে। ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ করছিলেন এই তিনজন। তারা হলেন সাইটের ম্যানেজার সুভাষ ভৌমিক, গাড়ি চালক সুবল দেবনাথ এবং শ্রমিক গণপতি ত্রিপুরা। তাঁদের অপহরণের পর বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আর্থিক প্যাকেজ দিতে গিয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বাজেট ঘাটতি! চিন্তিত নন নির্মলা]
সূত্রের খবর, অপহরণের নেপথ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি জড়িত। ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। কিন্তু ফের মাথাচাড়া উঠছে উগ্রপন্থীর। অপহরণকারী এনএলএফটি (National Liberation Front of Tripura) দলের নেতৃত্বে ছিল রমনি কলই। অপহরণের ঘটনায় গোটা ত্রিপুরাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অপহরণের খবর পেয়ে জেলার পুলিস সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। শুরু হয় তল্লাশি। বার্তা পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছেও। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের জমিতে ত্রিপুরার জঙ্গিদের একাধিক ঘাঁটি রয়েছে। এইসব জঙ্গি ঘাঁটিগুলি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে চলছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। অপহরণের পর ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। এর আগে অপহরণ করা হয়েছিল লিটন নাথ নামের এক যুবককে। তাকেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
উল্লেখ্য, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ত্রিপুরা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলে ভোটের আগে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। বিশেষ করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাঙালি বিদ্বেষ আরও বেড়েছে ত্রিপুরার জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যে। এবং সেই ক্ষোভের ফসল ঘরে তুলতে এবার মাঠে নেমেছে এনএলএফটি’-র মতো উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি। তবে কেন্দ্রের মোদি সরকার তথা রাজ্য প্রশাসন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করছে। এই বিষয়ে কখনও কোনও আপোস যে হবে না তা বলাই বাহুল্য।