সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান (Pakistan)। মুদ্রাস্ফীতির জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেদেশের অর্থনীতি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ২৭.৫৫ শতাংশে। যা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অবস্থায় নাভিশ্বাস আমজনতার। প্যাকেটজাত নয় এমন দুধের লিটার প্রতি দাম পৌঁছে গিয়েছে ২১০ পাকিস্তানি টাকায়। অন্যদিকে গোটা মুরগির দাম পৌঁছেছে প্রায় ৫০০ পাকিস্তানি টাকায়। আর কাটা মুরগির (Chicken) কেজি প্রতি মূল্য কোথাও কোথাও ৮০০ ছুঁই ছুঁই! সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সত্য়িই ভয়াবহ।
ফেব্রুয়ারিতেও পাকিস্তানে দুধের (Milk) দাম লিটার প্রতি ১৯০ টাকা ছিল। এবার তা একলাফে পৌঁছেছে ২১০ পাকিস্তানি টাকায়। অন্যদিকে গোটা ব্রয়লার মুরগির দাম যেখানে ৩৯০ থেকে ৪৪০ পাকিস্তানি টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল, সেখানে তা হয়ে গিয়েছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। অথচ জানুয়ারিতেই ৩৮০ থেকে ৪২০-র মধ্যেই ছিল দাম।
[আরও পড়ুন: ‘যে কোনও অধিনায়কই ওকে দলে নিতে মরিয়া’, ভারতীয় ক্রিকেটারের প্রশংসায় পাক তারকা]
অন্যদিকে কাটা মুরগির মাংসের দাম কয়েক দিন আগেও ছিল ৬২০ থেকে ৬৫০ পাকিস্তানি টাকার মধ্যে। কিন্তু এখন তা ৭০০ থেকে ৭৮০ টাকাতে বিকোচ্ছে। বোনলেস তথা মুরগির হাড়বিহীন মাংসের ক্ষেত্রে দাম একলাফে বেড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। পাকিস্তানে মুরগির বোনলেস মাংসের দাম এখন ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায় পৌঁছেছে।
সব মিলিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের এই অগ্নিমূল্য সাধারম জনতার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া করেছে। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল বাজার থেকেই যেন হাওয়া হয়ে গিয়েছে। তেলের জোগানে ঘাটনি পড়াতেই এই পরিস্থিতি বলে জানাচ্ছে পাক সংবাদমাধ্যম।