নিরুফা খাতুন: রবিবারের জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির ঘূর্ণিঝড় মিনি টর্নেডোই। এমনটাই জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। যার উৎপত্তিস্থল নেপাল।
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক তিনটে বেজে পনেরো মিনিট। আচমকা কালো করে আসে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির আকাশ। মুহূর্তে দৈত্যর মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে ছুটে আসে ঝড়। চোখের নিমেষে যা তছনছ করে দেয় গোটা এলাকা। উড়ে যায় বাড়ির চাল, উপড়ে যায় গাছ। কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। দুর্যোগের জেরে মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত বহু। তাঁরা জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল পরিস্থিতি খানিকটা আয়ত্তে আসার পরই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল একটা ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, দৈত্যর মতো ছুটে আসছে ঝড়। যা দেখে প্রাথমিকভাবে হাওয়া অফিসের অনুমান ছিল, এই ঝড় মিনি টর্নেডো (Mini Tornedo) হতে পারে।
[আরও পড়ুন:‘আবাসের ঘর পেলে এত ক্ষতি হত না’, দুর্যোগে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে ‘তোপ’ অভিষেকের]
সেই অনুমানেই এবার সিলমোহর। এদিন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে আবহাওয়াবিদ সোমনাথ দত্ত জানান, ময়নাগুড়ির ওই ঝড় মিনি টর্নেডোই। রবিবার দুপুর তিনটে পনেরো থেকে সাত মিনিট টর্নেডো দাপট দেখায় এলাকায়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের ৫ জেলায় বুধবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড় বৃষ্টির সতর্কতা। শিলাবৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায়। ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। তবে দক্ষিণবঙ্গে পাঁচদিন শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। পশ্চিমের ৫ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বুধবার থেকে শুক্রবার এই তাপপ্রবাহ চলবে।