সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে ক্রমশই শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে তৃণমূলের (TMC)। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শক্তিক্ষয় হচ্ছে বিজেপির। কারণ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন যেন লেগেই রয়েছে। শনিবার সবংয়ের অন্তত ৪০০ জন এবং বাদুড়িয়াতে কমপক্ষে ১০০ জন বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতেই দলবদল বলেও জানান সদ্য দলত্যাগীরা।
শনিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরে সবংয়ে বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ৪০০ কর্মী-সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি। ছিলেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া ও বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেই। গেরুয়া শিবিরের প্রতি আস্থা হারিয়েই তৃণমূলে যোগ দিলেন বলেই জানান সদ্য দলত্যাগীরা। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, টাকার বিনিময়ে দল ভাঙাচ্ছে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি।
[আরও পড়ুন: দলে বাড়ছে মতানৈক্য! জেলার যুব সভাপতিদের তালিকা প্রকাশ করেও প্রত্যাহার বিজেপির]
এছাড়া বাদুড়িয়া বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেসে, বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য-সহ শতাধিক কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করেন। শনিবার দুপুরে বাদুড়িয়া বিধানসভার পৌর কমিউনিটি হলে তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠানে এসে তাঁরা যোগদান করে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর নারায়ণ গোস্বামী, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বুরহানুল মোকাদ্দিন। এদিন কংগ্রেস সদস্য অঞ্জলি মণ্ডল, বিজেপি নেতা তপন মণ্ডল, কংগ্রেসের নেতা আনারুল সমাদ্দার ও মাজেদা বিবি-সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করলেন। তৃণমূলে যোগদানকারীরা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান।"
তৃণমূলের জেলার কার্যকরী সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, "কংগ্রেস, বিজেপি থেকে অনেকেই আমাদের দলে যোগদান করেন।" যদিও বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে তাদের দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের কথা অস্বীকার করেছে।