সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজনীতিকের নিশানায় পুলিশ। অনুব্রত মণ্ডলের ভঙ্গিমায় ঊর্দিধারীদের হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার। পুলিশকে ‘তুলে আছাড় মারার’ হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। মন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড়। বিরোধীরা মন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। এমন শব্দ প্রয়োগ করা উচিত হয়নি বলেই মত তৃণমূলের।
রবিবার হুগলির চণ্ডীতলার জয়কৃষ্ণপুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে সাবওয়ে তৈরির দাবিতে একটি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় যোগ দেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। স্থানীয়রা মন্ত্রীকে তাঁদের অভিযোগের কথা বলতে শুরু করেন। তাঁরা জানান, সাবওয়ে তৈরির দাবিতে কান না দিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা চওড়া করতে ব্যস্ত। এলাকাবাসীরা সাফ জানান, সাবওয়ের প্রস্তাবিত জায়গায় রাস্তা চওড়া করার কাজ করতে দেবেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: পৌষের শুরুতে বাড়ল তাপমাত্রা, বড়দিনের আগে বঙ্গে ফের উধাও হবে শীত?]
কথাবার্তা চলাকালীন বেচারাম মান্না বলেন, “যেখানে রাস্তার কাজ করছে করুক। তাতে বাধা দেওয়া যাবে না। রাস্তা অবরোধও করা যাবে না। কিন্তু সাবওয়ের জন্য প্রস্তাবিত ১০০ মিটার জায়গায় রাস্তার কাজ করতে এলে তাকে ধরে বেশ করে পিটিয়ে দেবে। বাকিটা আমি বুঝে নেব।” মারধরকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। তা শুনে রেগে আগুন মন্ত্রী। হুঁশিয়ারির সুরে বেচারাম মান্না বলেন, “কাজ বন্ধ করতে গেলে পুলিশ যদি ঝামেলা করে আমি পুলিশকে ধরে আছাড় মারব। এখানেই মারব।”
বেচারাম মান্নার হুঁশিয়ারি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। কীভাবে একজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে ঊর্দিধারীদের হুঁশিয়ারি দিতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, “পুলিশের সঙ্গে চাকর বাকরের মতো আচরণ করে তৃণমূল। বেচারাম মান্নার মন্তব্যেই তার আরও একবার প্রমাণ মিলল।” তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও বেচারাম মান্নার মন্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন করতে নারাজ। এমন শব্দ ব্যবহার করা উচিত হয়নি বলেই মত তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আগামী বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই কুকথা বাড়ছে। সেই তালিকায় বেচারাম মান্না নয়া সংযোজন।