সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাবছর শক্ত হাতে মন্ত্রিত্ব সামলান। বড়দিনে একেবারে ভিন্ন অবতারে ভরা দিলেন মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। পরনে ঘিয়ে রঙের শাড়ি। আদিবাসী বেশভূষা। মাথায় গোঁজা পালক। বড়দিনে ঠিক এভাবেই ব়্যাম্প মাতালেন তিনি।
বিষয়টা খোলসা করা যাক। আসলে বড়দিন উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কোনও না কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পিছিয়ে নেই বাঁকুড়াও। সেখানে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় চলছে বিষ্ণুপুর মেলা। ওই মেলাতে আদিবাসী ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে ব়্যাম্প মাতালেন রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। রীতিমতো পেশাদার মডেলের মতো হাঁটলেন তিনি।
মন্ত্রী ব়্যাম্প মাতানোর সময় জায়ান্ট স্ক্রিনে ফুটে ওঠে একাধিক ছবি। কখনও দেখা যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। আবার কখনও ভেসে উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সবশেষে মহিলা ক্ষমতায়নে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পগুলিও তুলে ধরেন মন্ত্রী।
ব়্যাম্পে হাঁটার পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশনও করেন জ্যোৎস্না। নাচের মাধ্যমে ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেন তিনি। প্রথমবার জীবনে এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী জ্যোৎস্না। বেজায় খুশি তিনি। বলেন,"আমরা তো সব সময়ই রাজনীতি করি, রাজনীতির রাস্তায় হাঁটি। র্যাম্পে হেঁটে ভালোই লাগছে। তবে র্যাম্প আর রাজনীতি রাস্তায় হাঁটা এক নয়। অনেক তফাৎ আছে।" মন্ত্রীকে ভিন্ন মেজাজে র্যাম্প শো-তে দেখে আপ্লুত স্থানীয়রা। খুশি হয়েছেন মেলা কমিটির সভাপতি অনসূয়া রায়ও।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে ঠিক এভাবেই স্কার্ফ, ব্লেজারে র্যাম্প মাতাতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। দিল্লির র্যাম্পে হেঁটে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।