সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মন্ত্রী উদয়ন গুহর। পোশাকের ভিত্তিতে মহিলা আন্দোলনকারীদের বিভাজন মন্ত্রীর। উদয়ন গুহর মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জোর শোরগোল। একজন মন্ত্রী কীভাবে মহিলাদের পোশাক নিয়ে কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র।
উদয়ন গুহ বলেন, "চুল্লুর ঠেক ভাঙার জন্য মহিলাদের ঝাঁটা হাতে আন্দোলন করতে দেখেছি। কিন্তু মদের ঠেক ভাঙার জন্য কোনওদিন জিনস প্যান্ট পরা কিংবা বব কাট চুলওয়ালা মহিলা দেখিনি। কারণ ওটা আন্দোলন নয়। আমরা সেই আন্দোলন করব যে আন্দোলন টিভিতে দেখাবে। ইংরেজি খবরের কাগজে খবর হবে।" মন্ত্রী আরও বলেন, "আগে ঘর সামলান। নিজের ঘর সামলান। যে সমস্ত জিনিস মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সেই লটারি বা মদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন গড়ে তুলুন।"
[আরও পড়ুন: প্রতিবাদের নয়া ভাষা, এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বাইরে ওপিডি পরিষেবা প্রতিবাদী চিকিৎসকদের]
আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে পথে নেমে আন্দোলনে শামিল প্রায় প্রত্যেকে। তারই মাঝে মন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও এই প্রথম নয়, উত্তাল সময়ে এর আগে শনিবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ান। মমতার বিরুদ্ধে যে বা যারা আঙুল তুলবে, তাদের আঙুল ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, “এই ঘটনায় যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন, যাঁরা সমাজমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করছেন, যাঁরা আঙুল তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছেন, সেই আঙুলগুলোকে চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। না হলে এরা বাংলাকে বাংলাদেশ তৈরি করবার চেষ্টা করবে। কিন্তু, ওঁরা জানেন না হাসিনা যে ভুল করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভুল করবেন না, করেননি। তাই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ওই ভাবে ভাঙচুর করার পরেও পুলিশ গুলি চালায়নি। পুলিশ এখানে বাংলাদেশ করতে দেবে না। সরকার এখানে বাংলাদেশ করতে দেবে না। তৃণমূল কর্মীরা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাকে বাংলাদেশ করতে দেবেন না।” উদয়নের এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। তবে তাতে যে কিছুই যায় আসে না মন্ত্রীর, তা তাঁর রবিবারের মন্তব্যেই স্পষ্ট।