shono
Advertisement

বৃষ্টির অভাবে মন্দা চাষে, বরুণদেবকে তুষ্ট করতে বিয়ের পিঁড়িতে দুই বালক

বিয়ের অনুষ্ঠানের পরেই ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছে গ্রামে!
Posted: 02:18 PM Sep 02, 2023Updated: 02:18 PM Sep 02, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। জলের অভাবে চাষবাস বন্ধ হতে বসেছে। ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছে গোটা গ্রাম। এহেন পরিস্থিতিতে দুই বালকের বিয়ে দিল গ্রামবাসীরা। তাঁদের আশা, পঞ্চম শ্রেণির দুই পড়ুয়ার বিয়ে দিলেই বরুণদেব তুষ্ট হবেন। কর্ণাটকের (Karnataka) চিক্কাবল্লাপুর জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকেই এমন বিয়ের খবর মিলেছে। একটি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, নাবালকদের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই ঝেঁপে বৃষ্টি এসেছে সেখানে।

Advertisement

একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে অন্তত তিনটি গ্রামে দুই বালকের বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে অন্যতম চিন্তামণি তালুকের হিরেকাট্টিজেনাহলি গ্রাম। মঞ্জুনাথ নামে সেখানকার এক কৃষক জানান, “আমাদের বিশ্বাস ছিল দু’টি ছেলের বিয়ে দিলেই দেবতা তুষ্ট হবেন। গ্রামে বৃষ্টি হবে।” এই বিশ্বাসে ভর করেই দুই নাবালকের বিয়ের আয়োজন করেন গোটা গ্রামেবাসীরা। 

[আরও পড়ুন: এবার ভোপালে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক! ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশেই মিলিত হবেন বিরোধীরা?]

জানা গিয়েছে, অনগ্রসর শ্রেণির এক বালককে বর সাজানো হয়। অন্যদিকে ‘কনে’ হয় এক দলিত বালক। দু’জনেই পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। পূর্ণিমার রাতে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলসূত্র পরানো থেকে শুরু করে বিয়ের যাবতীয় আচার আচরণ সুষ্ঠুভাবে পালন করা হয়। নবদম্পতির জন্য বিশেষ আরতির আয়োজন করেন গ্রামবাসীরা। সামর্থ্য অনুযায়ী উপহারও তুলে দেওয়া হয় দুই বালকের হাতে।

জানা গিয়েছে, উপহার বাবদ মোট ১৬০০ টাকা পেয়েছে দুই বালক। নিজেদের মধ্যে তা ভাগ করে নিয়েছে তারা। মঞ্জুনাথ বলেন, এই বিয়ের ঠিক আধঘণ্টার মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি হয়েছে গ্রামে। তবে এই বিয়ে হলেও তার কোনও বৈধতা নেই। আগামী দিনে নিজেদের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে দুই বালক।

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য, ‘ছেলে বাড়িতেই ছিল না’, সাফাই মন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার