দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি করার শাস্তি। মদ্যপ পিশামশাইয়ের মারে মৃত্যু এক চার বছরের শিশুর। তিন বছরের আরেক শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর (Sonarpur) থানার বেনেবউ গ্রামের লস্করপুরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পিশামশাই প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত প্রসেজনজিতের স্ত্রী ও তার শ্যালকের স্ত্রী কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। প্রসেনজিতের এক ছয় মাসের বাচ্চা রয়েছে। শিশুটিকে নিয়েই কাজে যান তার স্ত্রী। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে শ্যালকের দুই মেয়েকে নিজের কাছে দেখভালের জন্য রাখছিল ধৃত। সোমবারও তারা পিশামশাইয়ের কাছেই ছিল। অভিযোগ, রাতে নেশা করেছিল প্রসেনজিৎ। সেই সময় আফসারা খাতুন এবং আলিয়া খাতুন নামে ওই দুই শিশু তার কাছে খাবার চায়। তাতে প্রথমে আমল দেয়নি সে। এরপর কান্না জুড়ে দেয় বাচ্চারা। বেশ কিছুক্ষণ এমন চলার পর আচমকাই আফসারা ও আলিয়াকে তুলে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেয় প্রসেনজিৎ। সেই সঙ্গে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: এবার গরুপাচার মামলায় ২ IPS কর্তা জ্ঞানবন্ত সিং ও আকাশ মাঘারিয়াকে দিল্লিতে তলব ইডির]
মারধরের জেরে গুরুতর জখম হয় দু’জনই। আঘাত লাগায় আর্তনাদ শুরু করে তারা। এরপরই আফসারাকে গলা টিপে মেরে ফেলে প্রসেনজিৎ, এমনটাই অভিযোগ। বাচ্চাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে যায়। কিন্তু তাঁরা এসে দেখেন, সব শান্ত। প্রসেনজিতকে তাঁরা জিজ্ঞাসা করেন, কেন বাচ্চারা কাঁদছিল? উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই তাঁরা ঘরের দরজা খুলে দেখেন, আফসারার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। জখম অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আলিয়া। এরপরই থানায় খবর দেওয়া হয়। আহত শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় রাতেই।