টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: স্রেফ কুসংস্কারের জেরে ছাত্রীর উপর নারকীয় অত্যাচার। প্রতিবাদ করায় বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়া থানার রামচন্দ্রপুরের বাউরী পাড়ায়।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা নাবালিকা। তেলেন্ডি পুরুনিয়া হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে। প্রতিবেশীদের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধে থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেছিল ওই ছাত্রী। পরিবারের ধারণা হয়, মেয়েকে ভূতে ধরেছে। সেই কারণে বেলিয়াতোড় থানার গদারডিহি এলাকার এক মহিলা ওঝাকে বিষয়টি জানান তাঁরা। বুধবার সকালে দুই পুরুষ সহযোগিকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রীর গ্রামে যান ওই ওঝা।
[আরও পড়ুন: হাওড়ায় মদ্যপানের পরই ৬ জনের রহস্যমৃত্যু, মদের ঠেকে ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার]
ছাত্রীর বাড়ির অদূরে শুরু হয় পুজা-অর্চনা। ভূত তাড়ানোর নামে ছাত্রীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ওই গ্রামে যান পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে অত্যাচার বন্ধের চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উলটে ওই ওঝা, তাঁর সহযোগী এবং গ্রামবাসীরা একত্রিতভাবে বিজ্ঞানমঞ্চের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। তাঁদের ব্যাপক গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় বিজ্ঞানমঞ্চের তরফে মেজিয়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মেজিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনওক্রমে বিজ্ঞানমঞ্চের কর্মীদের গ্রাম থেকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি ছাত্রীর পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা।