তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: ফেসবুকে অশ্লীল পোস্ট। অপমান মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী নাবালিকা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়ার ব্লকের ফর্সা লাইনে। মৃতার নাম অনিশা কিসপোট্টা (১৭)। স্থানীয় স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত সে। খেলাধুলাতেও ভাল ছিল।
এদিন সন্ধ্যায় অনিশার ঝুলন্ত দেহ তার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ১৭ বছরের কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের আবহ তৈরি হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ। অনিশার দেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ ম্যাডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘পার্থর প্রতি আমার একটা বিশেষ দুর্বলতা আছে’, কেন একথা বললেন শোভনদেব?]
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খেলাধুলায় ভাল হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় খেলতে যেত সে। মাস কয়েক আগে জলপাইগুড়ি জেলার শিকারপুরে খেলতে গিয়ে বিশ্বদীপ নামে একটি ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় অনিশার। তারপর থেকে মাঝে মাঝেই ছেলেটির সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হত তার। অনিশার পরিবারের দাবি, এই বিশ্বাদীপ এবং টিনা নামের আরেকজন ফেসবুকে অনিশার ছবি শেয়ার করে তার ক্যাপশনে কুরুচিকর মন্তব্য লেখে। পোস্টটি ভাইরাল হওয়ায় অনিশার নজরেও পড়ে। এতেই চূড়ান্ত আঘাত পায় ১৭ বছরের কিশোরী। নিজের এই অপমান মেনে নিতে না পেরে মৃত্যুর পথ বেছে নেয় সে।
নিজেদের বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে পুলিশের কাছে অনিশার পরিবার ফেসবুক পোস্টের সমস্ত তথ্য জমা দিয়েছে বলে খবর। এর পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে। তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ।