মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি। গৃহকর্তাকে মারধর ও খুদে সদস্যর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার গয়না হাতানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অপারেশন শেষে পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া সকালবাজারের বাসিন্দা সুজিত কাড়ার। পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী তিনি। শুক্রবার ভোররাতে ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র ডাকাত মুখে গামছা বেঁধে হানা দেয় ব্যবসায়ীর বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সকলে সেসময় ঘুমোচ্ছিলেন। তবে সুজিতবাবু টের পান দুষ্কৃতীদের গতিবিধি। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই ডাকাতরা গৃহকর্তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর ব্যবসায়ীর সাত বছরের ছেলে সৌমাল্য কাড়ারের মাথায় আগ্নেয়াত্র ঠেকিয়ে যাবতীয় সোনার গয়না এবং নগদ টাকা লুট করে নেয় দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতন শিশু খুন: ‘রাজনীতি চাই না’, লকেটের পর সুকান্তকেও গ্রামে ঢুকতে বাধা উত্তেজিত জনতার]
ব্যবসায়ীর স্ত্রীর গা থেকেও যাবতীয় সোনার গয়না খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রায় এক ঘণ্টা অপারেশনের পর পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে ডাকাতরা পালিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সকলের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয় ডাকাত দল। চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন সুজিতবাবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত ওই পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, জগৎবল্লভপুর থানায় ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেনি। পরে ১০০ ডায়ালে ফোন করলে পুলিশ সুপারের অফিসের নাম্বার দেওয়া হয়। সেখানে ফোন করে জানালে বেশ কিছুক্ষণ বাদে পুলিশ আসে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।