সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তির পর থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘মণিকর্ণিকা’। কিন্তু তাতে একেবারেই খুশি নন ছবির অভিনেত্রী মিষ্টি চক্রবর্তী। উলটে পরিচালক কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যে প্রতিশ্রুতি’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
‘মণিকর্ণিকা’ ছবিতে কাশীবাঈয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিষ্টি চক্রবর্তী। গোটা ছবিতে তাঁর উপস্থিতি অনেক জায়গাতেই রয়েছে। বরং ঝলকারি বাঈয়ের থেকে কাশীবাঈ চরিত্রটি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু তাতেও খুশি নন মিষ্টি। তিনি বলেছেন, “আমি এটা আশা করিনি।” এমনকী তাঁকে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাও পালন করা হয়নি। কিছুদিন আগে ছবির পরিচালক কৃষ অভিযোগ তুলেছিলেন কঙ্গনা ছবির অনেক কিছুই পালটে দিয়েছেন। সেকথা বললেন মিষ্টিও। তাঁর মতে নিজের উপস্থিতি জাহির করতে অন্য অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের স্ক্রিনের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। মিষ্টির দাবি, যদি কঙ্গনা অসাধারণ অভিনেত্রী হয়ে থাকেন, তাহলে সবার মধ্যে থেকে তাঁকেই খুঁজে নেবে দর্শক। কিন্তু যদি কারোর মধ্যে আত্মবিশ্বাস না থাকে, তাহলেই একমাত্র নিজেকে জাহির করতে চাইবে সে।
[ কাপুর পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন, মা হলেন একতা ]
মিষ্টি আরও অভিযোগ করেছেন, কঙ্গনা পরিচালকের আসনে বসেছিলেন, কারণ তিনি নাকি চরিত্রগুলোকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যখন পুরোটা শেষ হল, দেখা গেল ঠিক উলটো। কঙ্গনা বলেছিলেন, তিনি সব অভিনেতা অভিনেত্রীর থেকে ডেট চান। কারণ চরিত্রগুলি যথাযথভাবে দেখানো হয়নি। তিনি সেই ফাঁকটা পূরণ করতে চান। কঙ্গনার কথায় সবাই ডেট দিয়েছিলেন। কিন্তু মিষ্টির মতে, ছবিটি দেখার পর হতাশ হয়েছেন সবাই। পরিচালক কৃষ বলেছিলেন তাঁর চরিত্রটি ছবিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রচুর অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে তাঁর। কিন্তু ছবি মুক্তির পর মনে হয়েছে, চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি।
পাঁচ দিনে ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’। ছবিটি পরিচালনা করতে শুরু করেছিলেন কৃষ। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর দেখা যায় প্রাথমিক কৃতিত্বটা কঙ্গনাই নিয়ে নিয়েছেন। পরিচালক হিসাবে প্রথমে তাঁর নামই দেখা গিয়েছে। এদিকে কঙ্গনা বলছেন, এনটিআরের বায়োপিকের জন্য ‘মণিকর্ণিকা’ ছবিটি মাঝপথে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি।
[ পোশাক নিয়ে কট্টরপন্থীদের রোষের মুখে সারা, পালটা দিলেন অভিনেত্রীও ]
The post ‘মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কঙ্গনা’, অভিযোগ তুললেন ‘মণিকর্ণিকা’-র অভিনেত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.