বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ‘মিশন ২০২৪’। লোকসভা নির্বাচনের আগে ছন্নছাড়া রাজ্য বিজেপিকে একসূত্রে বাঁধতে ‘টিম বাংলা’ গঠন করল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) মাথায় রেখে ছয় হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ‘টিম বাংলা’য় রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পরিস্থিতি বুঝে ধাপে ধাপে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে আপাতত ছ’জন মন্ত্রী নিয়মিত যাতায়াত করবেন। বাংলাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে মন্ত্রীরা কাজ করবেন। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির বঙ্গ সফরের পরই ‘টিম বাংলা’ কাজ শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আলাদা সভা করার পাশাপাশি রাজ্য নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন অমিত শাহ। তার আগে অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন জে পি নাড্ডা, বিএল সন্তোষরা। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীরা দিল্লিতে যে রিপোর্ট পাঠান, তা হাতে পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ‘গাঁটছড়া’ সিরিয়ালের সেটে একের পর এক ফোন চুরি, শ্রীমার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনিন্দ্যর!]
মনগড়া রিপোর্ট নয়, জেলা ঘুরে নিচুতলার নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বাস্তব পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেয় দিল্লি (Delhi)। পরের রিপোর্টেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডারা। বাংলায় (West Bengal BJP) দলের হাল যে বেহাল তাঁদের আলোচনাতেই স্পষ্ট হয় বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে বঙ্গ সফর করে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফিরেই সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করে নেন। তখনই ঠিক হয়, এবার বাংলায় যাবেন সর্বভারতীয় সভাপতি। আগামী ৭ ও ৮ জুন নাড্ডা বাংলায় থাকবেন বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উমরান থেকে কার্তিক, এবারের আইপিএলে সেরার পুরস্কার পেলেন কারা? রইল তালিকা]
কিন্তু বাংলার নেতাদের উপর ভরসা করতে রাজি নয়াদিল্লি। ২০১৯ মডেলেই বাংলার ভোট ময়দানে থাকার পরিকল্পনা করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যজুড়ে ফের সংগঠনকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করাতে আপাতত ছ’জন হেভিওয়েট মন্ত্রীকে এলাকা ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এঁদের মাথায় থাকবেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, শাহ ছাড়াও দলে থাকবেন স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, এস পি সিং বাঘেল-সহ ছ’জন। ‘টিম বাংলার’ সদস্যরা নিয়মিত রাজ্য সফর করবেন। সেইসঙ্গে পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত শাহ ও নাড্ডাকে রিপোর্ট দেবেন। এছাড়াও, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে যেসব বুথে দল হেরেছিল তারও পর্যালোচনা করা হবে। কারণ জানার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।