টিটুন মল্লিক, বাঁকড়া: পুরুলিয়ার পর বাঁকুড়া (Bankura)। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। জমিয়ে খেলেন ভাত, ডাল, আলুপোস্ত, আলুভাজা, বেগুনভাজা, মাছ। শেষপাতে ছিল চাটনি, মিষ্টি।
পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপির তরফে প্রত্যন্ত এলাকায় জনসংযোগে নানা কর্মসূচি রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)। বৃহস্পতিবার সকালে ১০.৪৫ নাগাদ বাঁকুড়ায় জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মিঠুন। তারপর মণ্ডল কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে বেলা আড়াইটে নাগাদ গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের কেলাইয়ে বিধায়ক চন্দনা বাউরির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন দুপুরে বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে মধ্যহ্নভোজন সারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘জোর করে টিকিট কেড়ে নেওয়া হয়’, অনুব্রতর লটারি রহস্য নিয়ে বিস্ফোরক নূর আলির বাবা]
মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলুপোস্ত, আলুভাজা, বেগুনভাজা, রুই পোস্ত, কাতলা মাছের ঝোল, চাটনি, পাপড়। চন্দনা বাউরির বাড়ির দোতলায় একই সঙ্গে খেতে বসেন সুকান্ত মজুমজার (Sukanta Majumder), সুভাষ সরকার ও মিঠুন চক্রবর্তী। নিজের হাতে পরিবেশন করেন চন্দনা। শেষপাতে ছিল রসগোল্লা। পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়া সারেন তাঁরা। শালপাতায় একেবারে বাঙালি খাবার খেয়ে মহাগুরু জানান, তিনি বরাবরই বাঙালি খাবার পছন্দ করেন। আলুপোস্ত তাঁর বিশেষ পছন্দের।
এদিন মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, চন্দনা বাউরিকে তিনি আগেই কথা দিয়েছিলেন যে, তাঁর বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া সারবেন। এদিন সেই কথাই রাখলেন তিনি। খাওয়াদাওয়ার কিছুক্ষণ পর চন্দনা বাউরির বাড়ি থেকে বের হন মিঠুন চক্রবর্তী। বিকেলে মেজিয়ায় কর্মিসভা রয়েছে মহাগুরুর। এভাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিজের হাতে রান্না করা খাবার খাওয়াতে পেরেছেন বলে অত্যন্ত আনন্দিত চন্দনা। বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে থেকে রান্নার আয়োজন শুরু করেছিলেন তিনি। যে শালপাতায় খেয়েছেন মহাগুরু, তাও নাকি নিজে হাতেই বানিয়েছেন বিধায়ক। উল্লেখ্য, বুধবার পুরুলিয়ায় এত কর্মীর বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারেন মিঠুন।