সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চ থেকেই নিজের স্ট্রাগল নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মিঠুন। এমনকী, জানিয়েছেন গায়ের রং শ্যামবর্ণ হওয়ার কারণে কীভাবে বলিউডে প্রথমে তাঁকে একঘরে করে রাখা হয়েছিল। মিঠুন শেয়ার করেছিলেন তাঁর সুপারস্টার হওয়ার যাত্রাপথ। তাহলে কী এই সুপারস্টারের তকমা, তাঁর দুই ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ও নামাশি চক্রবর্তীর কেরিয়ারে কোনও সুফল এনে দিয়েছে? সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুই ছেলের ফিল্মি কেরিয়ার নিয়ে মুখ খুললেন মিঠুন।
মিঠুনের কথায়, ''আমি আজ পর্যন্ত কোনও প্রযোজককে ফোন করে বলিনি, যে আমার ছেলেদের কাজ দিতে। কোনওদিন বলবও না। আমি চাই, তাঁরা নিজেদের লড়াই, নিজেরাই লড়ুক। ঠিক যেভাবে আমি লড়েছি।''
বছরের শুরুতেই পদ্মবিভূষণ সম্মান পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর এবার বর্ষীয়ান অভিনেতাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে মিঠুনের নাম ঘোষণা হতেই, মহাগুরুর চোখ ছলছল।
দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার হাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিঠুন বললেন, ”এই মঞ্চে আমি আগেও তিনবার এসেছিলাম, প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর মাথাটা একটু খারাপ হয়েছিল। ভেবেছিলাম বড় কিছু করে ফেলেছি নিজেকে অ্যালপাচিনো ভাবছিলাম”।
ভারতীয় সিনেমায় অবদানের জন্য আগেই জাতীয় পুরস্কার, পদ্মসম্মানে ভূষিত হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এবার দাদাসাহেব ফালকে গ্রহণ করবেন। ঘটনাচক্রে এদিনই ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করবেন কৌশিক। কেমন অনুভূতি? প্রশ্ন শুনেই পরিচালক বললেন, “মিঠুন চক্রবর্তী পাবে না তো কে পাবে! তার এই সুবিশাল সিনেম্যাটিক সফর। আগে ধরা হত দাদাসাহেব ফালকে প্রায় রিটায়ারমেন্টের সম্মানের মতো। সেটা কিন্তু নয়। ভালো লাগে যখন এমন সময় এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে যখন তার পরেও মানুষ কাজ করবে। আর মিঠুনদার ক্ষেত্রে খুব আনন্দের কারণ তাঁর ছবিও রিলিজ হয়েছে। সব একসাথে হচ্ছে।”