সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন। হয়ত বা বুঁদ ছিলেন ফের জনতার মন জয় ও মসনদে ফেরার স্বপ্নে। কিন্তু গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসবের শুরুতেই ধাক্কা খেতে হল তাঁকে। ভোট দিতে পারলেন না মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা।
আইজল নর্থ-২ বিধানসভা আসনের বুথ থেকে বেরিয়ে জোরামথাঙ্গা জানিয়েছেন, তিনি ভোট দিতে পারেননি। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জোরামথাঙ্গা এও জানিয়েছেন, তাঁর দল এমএনএফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। বিজেপির সঙ্গে তাঁর দলের কোনও যোগ নেই বলেও সাফ বলেছেন। এর পরই সকালের কাজ সেরে পরে এসে ভোট দেবেন বলে জানিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন জোরামথাঙ্গা বলেন, “সরকার গড়তে ২১টি আসনের প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস আমরা ২৫টিরও বেশি সিট পাব। করোনা মহামারীর সময় বিশ্বজুড়ে সংকট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু মিজোরামে আমরা সফলভাবে মহামারীর মোকাবিলা করেছি। প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। উন্নয়নের এই ধারা এগিয়ে নিতে আমাদের সরকার গড়তে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি আমাদের শরিকদল নয়।”
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মামলার পাহাড়! বিচারপতি নিয়োগে সুপারিশ কেন্দ্রের ‘চক্ষুশূল’ কলেজিয়ামের]
উল্লেখ্য, মণিপুর হিংসার আবহে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে মিজোরামে। উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যটিতে একদফায় ৪০টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে উত্তর-পূর্বে কি খাতা খুলতে পারবে কংগ্রেস? ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মিজ়ো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)। ওই ভোটে এমএনএফ জিতেছিল ২৭টি আসনে। মিজোরামের শাসকদল এমএনএফ ২০১৬ সাল থেকেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ (নেডা)-র সদস্য। তবে মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসার জেরে বিজেপির বিরুদ্ধে খানিকটা অসন্তোষ রয়েছে দলে।