সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি (Hindi) বনাম আঞ্চলিক ভাষা বিতর্কে সরগরম দেশ। কিছুদিন আগেই নতুন করে দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির (Hindi) পক্ষে সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সামনে একই মঞ্চে উপস্থিত থেকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন (MK Stalin) দাবি করলেন, দেশের কাজের ভাষা হিসেবে হিন্দির মতোই এবার তামিলকেও রাখা হোক। প্রসঙ্গত, দেশে কাজের ভাষা হিসেবে হিন্দির পাশাপাশি ইংরেজিকেও রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন স্ট্যালিন ও মোদি। সেই অনুষ্ঠানেই বর্ষীয়ান ডিএমকে নেতাকে বলতে শোনা যায়, ”তামিলকেও হিন্দির মতো কাজের ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এবং মাদ্রাজ হাই কোর্টেও সেটিকে সরকারি ভাষা করা হোক।” এদিনের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখেও তামিল ভাষার প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। তিনি তামিল ভাষাকে ‘চিরকালীন’ বলে উল্লেখ করেন।
[আরও পড়ুন: শিক্ষাক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের নজির, ফের বাংলার ঝুলিতে জাতীয় পুরস্কার ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’]
প্রসঙ্গত, তামিলকে কংগ্রেস আমলে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র তকমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বারবার হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিজেপির দাবি, হিন্দি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আঞ্চলিক ভাষাগুলি গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা, ‘ভাষা নিয়ে সংঘাত তৈরির চেষ্টা চলছে। নাগরিকদের সতর্ক করুন।” তবুও বিতর্ক কমেনি।
বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের বৈচিত্রে আঘাত হেনে আরএসএস-এর ‘হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান’ নীতি কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। তাই তারা এবার দেশের মানুষের উপর ‘রাষ্ট্রভাষা’ হিসেবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস করছে। আসলে অমিত শাহ দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির কথা আগেও বলেছেন। সম্প্রতি ফের তিনি এই কথা বলার পর থেকেই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।