সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠাকুরনগরে অমিত শাহের (Amit shah) সভায় ঢুকতে বেগ পেতে হল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। আধঘণ্টা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার পর শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সহযোগিতায় ভিতরে যান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণেই কি এই ঘটনা? প্রশ্ন অনেকের।
সোমবার বিধানসভার অধিবেশনের একেবারে শেষ দিনে বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব। ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক। প্রায় ২০ মিনিট কথা হয় তাঁর। এই সাক্ষাতের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজিতের দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এরপর তড়িঘড়ি ওই বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) এবং মুকুল রায়রা (Mukul Roy)। যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ। এদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দাবি, দলের সঙ্গে কথা বলেই নাকি ওই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিধানসভায় প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন।
[আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ২১৭ জন]
সেই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে অমিত শাহের সভায় আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও সহজে সেখানে ঢুকতে পারেননি বিশ্বজিৎ। বাধ্য হয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে গোটা বিষয়টি জানান তিনি। শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলে বিশ্বজিতের অনুষ্ঠানে প্রবেশের ব্যবস্থা করেন শুভেন্দুবাবু। অনেকেই মনে করছেন এর পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতই দায়ী। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছেন শান্তনু ঠাকুর।