বাবুল হক, মালদহ: দুর্ঘটনার কবলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) গাড়ি। তাঁর চোটাঘাত লাগেনি। তবে দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা দু’জন জখম হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর। তিনি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি। আরেকজনের স্থানীয় হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা। এটিকে নেহাত দুর্ঘটনা হিসাবে মানতে নারাজ খোদ বিধায়ক। তাঁকে খুনের ছক কষা হয়েছিল বলেই অনুমান কৃষ্ণ কল্যাণীর।
পদাতিক এক্সপ্রেসে শনিবার সকালে মালদহ টাউন স্টেশনে নামার কথা ছিল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর। সেই মতো তাঁকে নিয়ে আসতে নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়ি নিয়ে মালদহে যাচ্ছিলেন। ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৪টে ৫০ মিনিট হবে। কিন্তু পথেই বিপত্তি। মালদহের গাজোলের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি লরি পিছন দিক থেকে বিধায়কের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়িটি। সেই সময় গাড়িতে ছিলেন মোট তিনজন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের চোট গুরুতর। তিনি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি।
[আরও পড়ুন: কখনও যৌনসুখ পাননি ক্যানসার আক্রান্ত বান্ধবী, মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছাপূরণ প্রিয় বন্ধুর]
গাড়িতে না থাকায় রায়গঞ্জের বিধায়কের প্রাণরক্ষা হয়। বিধায়কের অভিযোগ, “এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়। আমাকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। গাড়িতে না থাকায় কোনও অঘটন ঘটেনি।” এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই লরিচালককে আটক করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে গাজোল থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, গেরুয়া নেতাদের সঙ্গে প্রবল মতভেদ হওয়ায় ২০২১ সালের ১ অক্টোবর বিজেপি ছাড়েন তিনি। এর মাত্র ২৬ দিন বাদে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর তৃণমূল শিবিরে যোগ দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। যদিও সরকারিভাবে এখনও তিনি পদ্মপ্রতীকেরই বিধায়ক। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণী।