সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুকে লাইভে ফের বিস্ফোরক মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়কের আরজি, “দলটাকে বাঁচান। দল বাঁচলে তবেই আমরা বাঁচব। রাতের অন্ধকারে দলেরই একাংশ দলকে ছোবল মারছে।” স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের পুরনো সৈনিকের এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে বাড়ছে জল্পনা।

সম্প্রতি একাধির ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে কামারহাটির ‘দামাল’ ছেলেকে। এবার দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। মদন মিত্রের কথায়, এক শ্রেণির দালাল, চিটিংবাজরা দলে ঢুকে পড়েছে। দলের একাংশই রাতের অন্ধকারে দলকে ছোবল মারছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছোবল মারছে। একাংশ সিপিএম, বিজেপিকে তোল্লাই দিচ্ছে।” এরপরই তাঁর আরজি, “দলটাকে বাঁচান। দল বাঁচলে তবেই আমরা বাঁচব।”
[আরও পড়ুন: চব্বিশের ভোট পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপিতে বদল নয়, তিনিই রাজ্য সভাপতি থাকছেন, দাবি সুকান্তর]
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ফ্ল্যাট দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ ওড়াতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি। বরং ‘মেজাজ হারিয়ে’ মাত্র ৭ মিনিটে সাংবাদিক বৈঠক সেরে উঠে যান। বিষয়টিকে ভালভাবে দেখছেন না কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর মতে, শেষ প্রশ্ন অবধি জবাব দিয়ে ওঠা উচিত ছিল সাংসদের। কামারহাটির বিধায়ক জানিয়েছেন, “আমার মনে হয়, কোনও অভিযোগ উঠলে সামনে দাঁড়িয়ে তার মুখোমুখি হতে হয়।” প্রশ্ন এড়ালে মানুষের মনে আরও সন্দেহ বাড়ে বলে মত মদন মিত্রর (Madan Mitra)। এর কয়েক দিনের মধ্য়ে ফের দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। যা নিয়ে জল্পনা বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: দিনপ্রতি ৭০০ টাকা ভাতায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়]
পরে অবশ্য তিনি ফেসবুক লাইভের এই বক্তব্য নিয়ে সাফাইও দিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”দল যাঁকে চাইবে, তিনিই ভোটে দাঁড়াবেন। এখন আমাকে যদি দল মনোনয়ন না দেয়, তাহলে তো একা একা গিয়ে দাঁড়াতে পারব না। তবে একটা কথা সত্যি। দলে প্রচুর এদি-ওদিকের লোক ঢুকছে। দলের সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই বেনোজল দূর করার চেষ্টা করছেন।”