রঞ্জন মহাপাত্র ও দেবব্রত মণ্ডল: আমফানের (Amphan) স্মৃতি উসকে ধেয়ে আসছে যশ। মঙ্গলবার বিকেলেই বাংলায় তাণ্ডব চালাতে পারে ভয়ংকর শক্তিশালী ওই ঘূর্ণিঝড়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে দিঘা-সহ সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়কের উদ্যোগে প্রস্তুত বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর মোকাবিলা করতে ক্যানিং পশ্চিম (Canning Paschim) কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু সমাজসেবী যুবককে নিয়ে এই বাহিনী গড়েছেন পরেশবাবু। নবান্নের তরফে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই শনিবার ক্যানিং মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি জরুরি প্রশাসনিক বৈঠক করেন পরেশবাবু। এরপরই বাহিনী গঠনের কথা জানিয়েছেন। ওই বৈঠকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা-সহ এলাকার অন্যান্য বিধায়ক এবং সরকারি আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে ওষুধ কিনতে যাওয়ার ‘অপরাধে’ যুবককে চড় জেলাশাসকের, দায়ের এফআইআর! ভাইরাল ভিডিও]
অন্যদিকে, শনিবারই জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে দিঘা, খেজুরি-সহ উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করেন। কোথায় কোথায় কী কাজের প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন সেচ দপ্তর, পিডব্লিউডি, পুলিশ, উন্নয়ন পর্ষদ-সহ একাধিক দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক হয়।
উল্লেখ্য, পূর্ব -মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ রবিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের৷ রামনগর এক নম্বর ব্লকের চাঁদপুর এলাকায় গ্রামের মধ্যে জল ঢুকে পড়ে। এবার সমুদ্রের জল আটকাতে বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে৷ সমুদ্র উপকূলে বাঁধ নির্মাণের কাজও চলছে। তবে অনেক জায়গায় কাজ আটকে রয়েছে। কারণ, করোনা আতঙ্কে অনেকে কাজ করতে চাইছে না। এদিকে উপকূল এলাকায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা নিজেদের কাজ শুরু করেছে। মানুষদের সতর্ক করতে তারা গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে মাইকিং শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ আজ অর্থাৎ রবিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা। সোমবার তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। আছড়ে পড়বে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে। যশ মোকাবিলায় তৈরি রাজ্য। তবে যে কোনও মুহূর্তে অভিমুখ পরিবর্তন করতে পারে এই ঝড়।