সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ঝাড়খণ্ডের ওরমানজি থানার একটি জঙ্গল থেকে এক মহিলার মুণ্ডহীন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা রাজ্যে। যেভাবে ঝাড়খণ্ডে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে তার প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও শুরু হয়। রাঁচিতে এরকমই একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে হামলা চালানো হল মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন কনভয়ে। এর ফলে জখম হন একজন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার প্রজেক্ট ভবন থেকে কাজ সেরে নিজের সরকারি বাসভবনে ফিরছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। তাঁর কনভয় যখন রাঁচির (Ranchi) কিশোরগঞ্জ চক এলাকা দিয়ে যাচ্ছে সেসময় আচমকা সামনে চলে আসে ধর্ষণের প্রতিবাদে বের হওয়া একটি মিছিল। সেই মিছিল থেকে কনভয়ের সামনে থাকা অশ্বারোহীদের উপর চড়াও হয় কয়েকজন ব্যক্তি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। পরে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। সংঘর্ষের এর ফলে নওল কিশোর প্রসাদ নামে একজন ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিক জখমও হন। পরে ঘটনাস্থলের ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িতদের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মেহবুবা মুফতির ঘর সাজাতে ছ’মাসে সরকারের ৮২ লক্ষ টাকা খরচ! ফাঁস RTI-এ]
এপ্রসঙ্গে রাঁচির সিনিয়র পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র কুমার ঝা জানান, কিশোরগঞ্জ চক এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে। এর ফলে একজন ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিক জখম হয়েছেন। পরে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের নামে মামলা করে তদন্তও শুরু হয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ-সহ অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের সন্ধানেও তল্লাশি চলছে।