দেবব্রত মণ্ডল, ক্যানিং: ফের গণপিটুনিতে মৃত্যু! এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। অভিযোগ, রবিবার ভোররাতে ভাঙড় থানা থেকে অদূরে চোর সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম আজগার আলি মোল্লা (৩৬)। বাড়ি ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। ডেকরেটার্সের ব্যবসা করতেন বলে খবর। তাঁর কাছে অনেকে কাজও করতেন। এমন একজন ব্যবসায়ীকে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ভাঙড় বাজারে পর পর চুরি হচ্ছিল। রাত পাহারার লোক থাকলেও চুরি আটকানো যাচ্ছিল না। এদিন নাকি চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান আজগার। তখনই দোকানে বেঁধে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘দাদাগিরি’! বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত যুবক]
আবার অন্য একটি সূত্রে খবর, শনিবার ভাঙড়ে ছেলেধরা গুজব রটেছিল। ভাঙড়ের এক স্কুল থেকে দুই কিশোরীকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে গুজব রটে যায়। এর মধ্যে এদিন সকালে রটে যায়, আজগার দুই নাবালিকাকে নিয়ে দিঘা যাচ্ছেন। এর পরই এলাকাবাসী তাঁকে আটকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তবে পুলিশের তরফে এবিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বর্তমানে কলকাতা পুলিশের আওতায় পড়ে ভাঙড় থানা। সেই থানা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলেই পড়েছিল দেহ। ফলে পুলিশি সক্রিয়তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বর্তমানে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য়দুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। কোথাও ছেলেধরা তো কোথাও চোর গুজবে মারধর করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য প্রশাসন করা পদক্ষেপ করেছে। তার পরেও এধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।