shono
Advertisement

Breaking News

মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত ‘কট্টরপন্থী’নেতা ইব্রাহিম রাইসিই ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট

আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলির অন্যতম সমালোচক হিসেবে পরিচিত রাইসি।
Posted: 01:17 PM Jun 19, 2021Updated: 03:13 PM Jun 19, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই বিপুল ভোটে জিতে ইরানের (Iran) পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ইব্রাহিম রাইসি। ইতিমধ্যে নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ আবদুল নাসের হেম্মাতি-সহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়ে দিয়েছেন। একাধিক ইরানের সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইও টুইট করে এই খবর জানিয়েছে। যদিও ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও যেহেতু ভোট গণনা চলছে, তাই সরকারি ঘোষণা হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপতি হাসান রৌহানিও সরকারিভাবে না হলেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইব্রাহিম রাইসিকে।

Advertisement

 

ইরানে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের পরের পদই সেদেশের রাষ্ট্রপতির। দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হন তিনি। এতদিন এই পদে ছিলেন হাসান রৌহানি। এবার তাঁর জায়গাতেই রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন ৬০ বছর বয়সি রাইসি। বর্তমানে তিনি ইরানের প্রধান বিচারপতি পদে রয়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হেরে যান হাসান রৌহানির কাছে। তা সত্ত্বেও রাইসির জনপ্রিয়তা গোটা দেশেই বৃদ্ধি পেয়েছিল। এবারের নির্বাচন জেতার ব্যাপারেও ফেভারিট ছিলেন ইরানের সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের এই কট্টরপন্থী নেতা। আহমেদিনিজাদের মতো শক্তিশালী প্রার্থীরা আগেই প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন। তাই বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় রাইসির ভোটে জয় পাওয়া ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বর্তমান রাষ্ট্রপতি হাসান রৌহানি নাম করেই একটি টিভি চ্যানেলে বিবৃতিতে বলেছেন, “মানুষের দ্বারা নির্বাচিত। সরকারি ভাবে এখনও ঘোষণা না হওয়ায় আমি নাম করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি না। তবে বোঝা যাচ্ছে ভোট কে পাচ্ছেন?”

[আরও পড়ুন: জুন্টার নিন্দায় রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পাশ, মায়ানমারে আটক নেতাদের মুক্তির দাবি ভারতের]

প্রসঙ্গত, হাসান রৌহানি কিছুটা নরমপন্থী হলেও ইব্রাহিম রাইসি অনেকটাই কট্টরপন্থী হিসেবেই বিশ্বে পরিচিত। দেশের অভ্যন্তরেও অন্যতম ক্ষমতাশালী তিনি। বরাবরই আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির তীব্র সমালোচনাও করে এসেছেন। এমনকী মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য রাইসির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। যদিও বর্তমানে আমেরিকার ক্ষমতাসীন বাইডেন প্রশাসন ইরানের প্রতি কিছুটা হলেও নরম মনোভাব নিয়েছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, ট্রাম্প জমানার বিবাদ ভুলে ইরানের সঙ্গে নিজেদের বিবাদ মেটাতে চাইছেন জো বাইডেনও। আর তাই তো সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য থেকে মিসাইল সিস্টেম সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু এখন দেখার রাইসির এই পদে বসার পর দু’দেশের সম্পর্ক কেমন হয়?

[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্য থেকে মিসাইল সিস্টেম সরাচ্ছে আমেরিকা, নেপথ্যে কোন সমীকরণ?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement