সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথমবার এক মঞ্চে থাকবেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও শি জিনপিং (Xi Jinping)। কোভিড অতিমারীর পরে এই প্রথমবার সামনাসামনি এসসিও বৈঠক হতে চলেছে উজবেকিস্তানে। সেখানেই মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদি-জিনপিং। তবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে, সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই যৌথ বিবৃতি দিয়ে রাশিয়া ও চিন জানিয়েছে, একসঙ্গে মিলে মহাশক্তি গড়ে তুলবে এই দুই দেশ।
কোভিড অতিমারীর পরে এই প্রথমবার চিনের বাইরে কোনও বৈঠকে অংশ নিতে চলেছেন জিনপিং। প্রসঙ্গত, এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেয় ভারত ও চিন। ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপরে আক্রমণ চালায় লালফৌজ। সেই সময় শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। পালটা প্রত্যাঘাতে নিকেশ করা হয় মোট ৪২ জন চিনা সেনাকে। তারপর থেকেই লাদাখ সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে দুই দেশ।
[আরও পড়ুন: পুতিনকে হত্যার ছক, অল্পের জন্য রক্ষা রুশ প্রেসিডেন্টের]
ভারতীয় সময় রাত ন’টা নাগাদ উজবেকিস্তানে পৌঁছবেন মোদি। এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, “এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য রওয়ানা হচ্ছি। এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়েও মত বিনিময় হবে রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে।”
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। তার আগেই চিনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। সেখানে বলা হয়েছে, এই দুই দেশ একসঙ্গে মিলে মহাশক্তি গঠন করবে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা চাইছে এককেন্দ্রিক বিশ্ব গড়ে তুলতে। কিন্তু সেই চেষ্টাকে সফল হতে দেওয়া যাবে না। ইউক্রেন প্রসঙ্গে চিন যেভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে, তাকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন পুতিন। এই সম্মেলনের পরে আন্তর্জাতিক সমীকরণ কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: সিংহাসনে বসেই বহু কর্মচারীকে ছাঁটাই রাজা চার্লসের, প্রতিবাদে সরব কর্মী সংগঠন]