সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা জিততে না পেরে মন ভেঙে গিয়েছিল ভারতীয় কুস্তিগিরের। কাঁদতে কাঁদতে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। নিজের দেশের খেলোয়াড়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন সান্ত্বনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গোটা ঘটনা দেখে এক পাক সাংবাদিকের প্রশ্ন, আমাদের খেলোয়াড়রাও যে পদক জিতছে, রাষ্ট্রপ্রধানরা কী সেকথা জানেন?
মহিলাদের ৫০ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন পূজা গেহলট (Pooja Gehlot)। তার আগে সেমিফাইনালে আগাগোড়া এগিয়ে থেকেও শেষ দশ সেকেন্ডে ম্যাচের রং বদলে যায়। পূজাকে হারিয়ে দেন কানাডার অভিজ্ঞ কুস্তিগির। সোনা জয়ের স্বপ্ন সেখানেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু মন ভেঙে গেলেও আবার কুস্তির ম্যাটে নেমে দেশের জন্য পদক জিতে নেন পূজা।
[আরও পড়ুন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে হকিতে ব্রোঞ্জ পেলেন ভারতীয় মহিলারা, রুপো নিশ্চিত সিন্ধুর]
তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ২৫ বছর বয়সি কুস্তিগির। তিনি বলেন, “সেমিফাইনালে উঠেও হেরে গেলাম। দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। আমি ভেবেছিলাম পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে আমার দেশের জাতীয় সংগীত বাজবে।” পূজার বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই আলাদা করে টুইট করেন মোদি। তিনি বলেছেন, “পূজা, তুমি পদক পেয়েছ, সেটা নিয়ে আমরা উদযাপন করব। পদক পেয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে নেই। তোমার জীবন সংগ্রামের কথা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ভবিষ্যতে তুমি আরও অনেক সাফল্য পাবে। এগিয়ে চলো।”
প্রধানমন্ত্রীর টুইট দেখে মুগ্ধ পাকিস্তানি সাংবাদিক (Pakistani Journalist) সিরাজ হাসান। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “ভারতে এভাবেই খেলোয়াড়দের সমর্থন করা হয়। পূজা গেহলট সোনা জিততে পারেননি, ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি কোনওদিন এভাবে টুইট করেন? আমাদের খেলোয়াড়রাও পদক জিতছেন। দেশের নেতারা কি আদৌ সেটা জানেন?”
প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালের পরে চলতি বছরেই কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) সেরা পারফরম্যান্স করেছেন পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা। একটি সোনা, তিনটি রুপো এবং তিনটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে পাকিস্তান।