সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবে খলিস্তানি আন্দোলন মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ফাঁড়িতে তরোয়াল-লাঠি নিয়ে চড়াও হয়েছে খলিস্তানপন্থীরা। তবু চুপ কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণত বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলিতে আইনশৃঙ্খলায় সামান্য সমস্যা দেখা গেলেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাঞ্জাবের বিক্ষোভে খলিস্তানি ইন্ধন থাকার অভিযোগ থাকলেও এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
খলিস্তানি সংগঠন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’র প্রধান অমৃতপাল (Amritpal Singh)। কিছুদিন আগেই তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুচর লভপ্রীত তুফানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে লভপ্রীতের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দেন অমৃতপাল। সাফ জানিয়ে দেন, “এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত অভিযোগ খারিজ না করলে ফল ভাল হবে না। অভিযোগ বাতিল না করলে যদি কোনও সমস্যা হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে শুধুমাত্র প্রশাসন।” এই ঘটনার পরেই বিশাল জনতা আজনালা থানার সামনে ভিড় জমায়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সকলেই হাতে অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হন ৬ পুলিশকর্মী। দীর্ঘক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর রাজ্যজুড়ে সংঘর্ষের খবর মিলেছে।
[আরও পড়ুন: ২৬ ফেব্রুয়ারি-৩ মার্চ Horoscope: আয়ের নতুন পথ পাবেন মিথুন রাশির জাতকরা, আপনার কেমন কাটবে সপ্তাহটি?]
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে পাঞ্জাবে ভগবন্ত মান বলেন, “ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। পাঞ্জাবের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। ১০ বছর আগে গুলি চলত। এখন মানুষ একসঙ্গে থাকতে চায়। পাঞ্জাব এখন শান্তিপূর্ণ রাজ্য।” কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ গোয়েন্দা কর্তারা। RAW-এর প্রাক্তন কর্তা অমরজিৎ সিং দৌলতের কথায়, “সীমান্তবর্তী রাজ্য যথেষ্ট সংবেদনশীল। সেই রাজ্য দিল্লি থেকে চালানো সম্ভব নয়। ভগবন্ত মান একজন ভাল মানুষ কিন্তু দক্ষ প্রশাসক নন। কেজরিওয়াল পাঞ্জাব চালাতে পারবেন না।” এদিকে কেন্দ্রের চুপ করে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি রাজনৈতিক সুবিধান জন্যই হাত গুটিয়ে রয়েছে তারা।
দিল্লি শাসন করছে আপ। কিন্তু সেখানকার আইনশৃঙ্খলা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। ক্ষমতা দখলের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই আপ শাসনাধীন পাঞ্জাবে যদি খলিস্তানি আন্দোলন মাথাচাড়া দেয়, তাহলে কেজরি সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করতে পারবে কেন্দ্র। সেই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই কি চুপ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার? উঠছে প্রশ্ন।