সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের শুরু করা স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযানে নিজেই ফুল মার্কস নিয়ে পাশ করতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে উন্মুক্ত শৌচবিহীন গ্রাম বা নির্মল ভারত তৈরি করবেন তিনি। কিন্তু বারাণসীতে তাঁরই দত্তক নেওয়া গ্রাম নাগেপুর এখনও এর আওতায় আসেনি।
২০১৬ সালের গোড়ার দিকে নাগেপুর গ্রামটি দত্তক নেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনার দ্বিতীয় দফায় গ্রামটি তিনি দত্তক নেন। এই যোজনা অনুসারে প্রতিটি সাংসদ তার কেন্দ্র থেকে গ্রাম দত্তক নিতে পারে। এরপর তাকে ‘মডেল ভিলেজ’ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব তাঁর। সেই হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র যেহেতু বারাণসী, তাই তিনি এই গ্রামটি দত্তক নেন। কিন্তু একে ‘মডেল ভিলেজ’ তৈরি করতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে জানা গিয়েছে নাগেপুর গ্রাম এখনও নির্মল ভারতের আওতায় আসেনি। স্কোর অনুসারে এই গ্রামটি একেবারে শূন্য পেয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দত্তক নেওয়া দু’টি গ্রাম- জয়পুর ও কাকারাহিয়া এবছর টার্গেট ছুঁতে পেরেছে। ২০১১ সালে এগুলি তালিকার শেষের দিকে ছিল।
[ সাংবাদিক টার্গেট ছিল না, দান্তেওয়াড়া হামলায় বিবৃতি মাওবাদীদের ]
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদি বলেছিলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি স্বচ্ছ্ব ভারত মিশন সফল করবেন। ২ অক্টোবর এর যাত্রাও শুরু করেন তিনি। তারপর থেকে প্রায়ই তিনি বিভিন্ন বক্তৃতায় এই মিশনের উল্লেখ করতেন। এবছর জুনে তিনি বলেন, সুস্থ্য জীবন কাটাতে পরিষ্কার থাকা জরুরি। বাড়িতেই শৌচালয় নির্মাণের কথা বলেছিলেন তিনি। এই বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে অনেক সেলিব্রিটিকে দিয়ে প্রচারও করানো হয়েছিল।
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নির্মল ভারতের আওতায় এসেছে। তালিকায় গোটা দেশের মধ্যে উপরের দিকে রয়েছে হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, ছত্তিশগড় ও সিকিম। এই রাজ্যগুলিতে প্রায় ৮৮ শতাংশের ঠিকঠাক শৌচালয় রয়েছে। তালিকায় নিচের দিকে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, অসম, গোয়া, অসম, ওড়িশা ও বিহার।
[ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে আমিরশাহিতে জঙ্গি পাচার করছে কেরলের জেহাদিরা! ]
The post নির্মল হওয়ার দৌড়ে শূন্য পেল মোদির দত্তক নেওয়া গ্রাম appeared first on Sangbad Pratidin.