সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা (China) আগ্রাসনের জবাব দিতে মরিয়া ভারত। এবার লালফৌজকে রুখতে নয়া সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। একটি নয়, তিন-তিনটি ‘মাস্টারস্ট্রোক’ নিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই পদক্ষেপগুলি বেজিংকে অস্বস্তিতে ফেলবে।
কী এই তিন নতুন পদক্ষেপ? এক, ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে বর্ডার পুলিশের সংখ্যাবৃদ্ধি। দুই, শিনকু লা টানেল চালু করা। তিন, গ্রামের জন্য ‘প্রাণবন্ত’ প্রকল্প চালু করা। মনে করা হচ্ছে, তিব্বত ও শিনজিয়াংয়ের মতো জায়গায় চিনা সেনা যে ত্রিস্তরীয় সীমান্ত সুরক্ষা বলয় তৈরি করছে, তার মোকাবিলা করতেই এই নয়া পরিকল্পনা।
[আরও পড়ুন: মাটির তলা থেকে ভেসে আসছে রহস্যময় শব্দ! ফের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় কাঁপছে লাটুর]
সম্প্রতি মোদি সরকার চিনা সীমান্ত এলাকায় আইটিবিপি জওয়ানের সংখ্যা বাড়াতে পদক্ষেপ করেছে। লালফৌজ (PLA) যেভাবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের গ্রামগুলিতে সেনা মোতায়েন করছে, তেমনটাই করবেন এই জওয়ানরা। নতুন ব্যাটেলিয়নগুলি ৪৭টি সীমান্ত পোস্টের দায়িত্বে থাকবে। এর মধ্যে লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডে একটি করে পোস্ট থাকবে। বাকিগুলি সবই অরুণাচল প্রদেশে। এই নতুন ও অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করার সিদ্ধান্তের ফলে বড় শহরে না গিয়ে গ্রামেই থাকার প্রবণতা বাড়বে এলাকার তরুণদের। স্থানীয় তরুণদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ওই গ্রামগুলিতে বাণিজ্যের উপরেও জোর দেওয়া হবে।
এরই পাশাপাশি শিনকু লা টানেল তৈরিতে সম্মতিও দিয়েছে মোদি সরকার। ৪.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল ২০২৫ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে। এর ফলে লাদাখের (Ladakh) সঙ্গে সারা বছরই যোগাযোগ রাখতে পারবেন জওয়ানরা।