সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদ্বীপ (Maldives) পার্লামেন্টের দখল নেবে কোন পক্ষ? ‘ইন্ডিয়া আউটে’র ডাক দেওয়া মহম্মদ মুইজ্জু নাকি ভারতপন্থী ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি? রবিবার সেদিকেই নজর ছিল দিল্লির। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মিলল উত্তর। চিনপন্থী মুইজ্জুর দল পিপল্স ন্যাশনাল কংগ্রেসকেই বড় ব্যবধানে জেতাল মালদ্বীপের নাগরিকরা। ভারতের সঙ্গে সে দেশের সম্পর্কের ভাঙন নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারল না।
জানা গিয়েছে, এদিন মালদ্বীপের ৯৩ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভারতীয় সময় রাত ১১টা পর্যন্ত যা ফল, তাতে প্রথম ৮৬ আসনের মধ্যে ৬৬ আসনেই বিজয় ঝান্ডা উড়িয়েছে মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) দল। ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে যা অনেকটাই বেশি। ধোপে টিকতে পারেনি মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
[আরও পড়ুন: মমতাকে ‘পালটিকুমারী’ বলে খোঁচা, হারলে রাজনীতি থেকে ‘ছুটি’ ঘোষণা অধীরের]
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন চিনপন্থী মুইজ্জু। প্রচারজুড়ে ভারত বিরোধিতার ডাক দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ভারতীয় সেনাকে ‘বিতাড়িত’ করার সিদ্ধান্ত নেন। মালদ্বীপে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো গড়তে বরাত দেন চিনা (China) সংস্থাগুলোকে। মুইজ্জুকে ব্যবহার করে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে বেজিং, একথা কার্যত দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। কিন্তু চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট থাকলেও মালদ্বীপের পার্লামেন্টের দখল ছিল মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। সেই দলের প্রধান মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোলি, যিনি ভারতপন্থী বলেই পরিচিত।
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সোলি সাফ জানিয়েছেন, মুইজ্জুর কাজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালদ্বীপ। পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে সেই ক্ষতি মেরামত করবেন তিনি। তিনি ভোটের ফলাফলে তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। ফলে এর পর ভারতের সঙ্গে মুইজ্জুর সম্পর্কের সমীকরণ কী হয়, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।