রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: অতি বামপন্থীদের থেকে সতর্ক থাকার কথা বললেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিটে কলকাতা জেলা এসএফআইয়ের সমাবেশে সেলিম বলেন, ‘‘কলেজ স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে বলছি। অনেক অতি বামপন্থী আছেন, যাঁরা সামনে দাঁড়িয়ে বিপ্লবী সাজেন আর তলায় তলায় যোগাযোগ রাখেন মোদি—বিজেপি কিংবা তৃণমূলের সঙ্গে। এ বামপন্থী সাজা মানুষগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’’
কিছু বামপন্থী দলের দিকেই যে মহম্মদ সেলিম ইঙ্গিত করেছেন তা স্পষ্ট। অতি বামপন্থীদের থেকে হুঁশিয়ার থাকার জন্য ছাত্র সংগঠনের কর্মী—সমর্থকদের যে পরামর্শ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক এদিন দিয়েছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, রামমন্দির উদ্বোধনের দিন ২২ জানুয়ারি ফ্যাসিবাদ বিরোধী মহাসম্মেলন এবং মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে কলকাতায়। আয়োজকদের মধ্যে আরএসপি, সিপিআই(এমএল), এসইউসি—র সমস্ত গণসংগঠন যেমন রয়েছে, তেমনই শতাধিক ছোট—বড় সংগঠনও আছে। এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী মহাসম্মেলনে সিপিএমের কাউকে সেভাবে ডাকা হয়নি।
[আরও পড়ুন: কে লাগাচ্ছে? ট্রেনের কামরায় অশ্লীল বিজ্ঞাপনের উৎস খুঁজতে মরিয়া রেল]
রাজনৈতিক মহলের মতে, অতি বামপন্থী বলতে বামফ্রন্টের বাইরে থাকা কয়েকটি বামপন্থী দলের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন সেলিম। এদিন কলেজ স্ট্রিটের সমাবেশ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেন সেলিম। মাওবাদী নেতা কিষানজির সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, বৃদ্ধতন্ত্র ছেড়ে তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখেই যে সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তা এদিন ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
সেলিমের বক্তব্য, বামপন্থার পুনর্জাগরণ ছাত্র—যুব—তরুণ অর্থাৎ যৌবনের দূতদের ছাড়া সম্ভব নয়। ফের পার্টি লাইন স্পষ্ট করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জানিয়ে দেন, কমিউনাল বনাম কমিউনিস্ট লড়াই হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে। তবে তৃণমূলকেও ছাড় দেওয়া যাবে না। লোকসভা ভোটের আগে ধর্মকে ব্যবহার করে বিজেপি মন্দির কেন্দ্রিক রাজনীতি করছে বলে তাঁর অভিযোগ।