সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা অটো চালাতেন। সেই তিন চাকাতেই সওয়ার হয়েছিল স্বপ্ন। দারিদ্রের নুড়িপাথর ঠোক্কর দিলেও, স্বপ্নের যাত্রাকে থামাতে পারেনি। আর তাই দেশের জার্সি গায়ে অবশেষে খেলার ময়দানে তরুণ পেসার মহম্মদ সিরাজ। প্রথমবার স্বপ্নের মুখোমুখি দাঁড়ানো। মুহূর্তটা নিঃসন্দেহে স্পেশাল। আর তাই জাতীয় সংগীত শোনা মাত্র চোখে জল এসে গেল তরুণ ক্রিকেটারের।
[ পাণ্ডিয়ার এই ‘খুঁত’টি ধরে ফেলেছেন বিরাট, তথ্য ফাঁস হতেই শোরগোল ]
শ্রেয়াস আইয়ার ও মহম্মদ সিরাজকে দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি মাঠে নামতে পারবেন, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি। রবিবার রাজকোটে সিরাজের হাতে টুপি তুলে দেন কোচ। অতএব বহুদিনের প্রার্থিত মুহূর্তটি সিরাজের সামনে এসেই গেল। নীল জার্সি গায়ে ভারতের সৈনিক হয়ে নামলেন মাঠে। প্রথামতো বেজে উঠল দেশের জাতীয় সংগীত। আর ক্যামরা দেখল, চোখ ভিজে গিয়েছে সিরাজের। প্রাণপণে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু পারছেন কই।
রনজিতে ভাল পারফর্ম করেই নজর কেড়েছিলেন সিরাজ। ইন্টার স্টেট টি-টোয়েন্টিতেও তাঁর সাফল্য ছিল নজরকাড়া। ফলে সহজেই ডাক পেয়ে যান গত আইপিএল-এ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার দরুণ বেশ ভাল অঙ্কের টাকা পান। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বাবাকে অটো চালানোর কাজ থেকে নিবৃত্ত করেন। এরপর স্বপ্ন বলতে ছিল একটাই। দেশের হয়ে খেলা। দলে ডাক পেয়ে তার অর্ধেক পূরণ হয়েছিল। বাকিটা হল রাজকোটে। এরকম মুহূর্ত প্রতি ক্রিকেটারের জীবনে একবারই আসে। তিন চাকায় যে স্বপ্ন সওয়ার হয়েছিল, আজ সে পৌঁছাতে পারল জাতীয় মঞ্চে। চোখের জল আর তাই সামলাতে পারেননি সিরাজ। চোখের জলের কোনও রং হয় না। তবু সিরাজের এই চোখের জলেই যেন নানা রঙের স্বপ্ন আঁকা। যার সাক্ষী থাকে সাফল্যের খোঁজে থাকা সিরাজের মতো তরুণরাই।
[ ক্রিকেটের পিচে ঢুকে পড়ল গাড়ি, হতবাক গম্ভীর-ইশান্তরা ]
The post দেশের জার্সি গায়ে জাতীয় সংগীত শুনেই চোখে জল এই ক্রিকেটারের appeared first on Sangbad Pratidin.