স্টাফ রিপোর্টার: গত মরশুমের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন। সেই সুবাদে প্রথমবার আইএসএলে নামবে মহামেডান স্পোর্টিং। কলকাতা থেকে তিন প্রধানই এবার দেশের সেরা লিগে। সাদা-কালো জার্সিধারীদের দাপট দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ফুটবলভক্তরা। তার আগে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মরশুমের ফুটবলারদের পরিচয় করাল মহামেডান। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে এই মরশুমে মহামেডানের নতুন জার্সির আত্মপ্রকাশ ঘটল।
এদিন জার্সি উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন মহামেডানের ফুটবলাররা। সামাদ আলি মল্লিক, অমরজিৎ, অ্যালেক্সিস গোমেজদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে এল সাদা-কালো ব্রিগেডের নতুন জার্সি। এদিন সেখানে ছিল চাঁদের হাট। ক্লাবের তরফ থেকে সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি ছাড়াও ছিলেন অন্যান্য কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন মহামেডানের অন্যতম ইনভেস্টর শ্রাচী গ্রুপের কর্ণধার রাহুল টোডি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৃঞ্জয় বোস, আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। তবে ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি বাঙ্কারহিলস কর্তা দীপককুমার সিং।
এই অনুষ্ঠানে মহামেডানের মহিলা ফুটবল দল ও রিজার্ভ দলকেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গৌতম ভট্টাচার্য। এদিন রাহুল টোডি বলছিলেন, "আমরা অনেক কষ্ট করে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আইএসএলে উঠে এসেছি। দল একটা ছন্দে রয়েছে। এই ছন্দ ধরে রেখেই আইএসএলে নামছি।" এদিন রাহুল টোডির জন্মদিনের কেক কাটা হয় এই অনুষ্ঠান মঞ্চে। মহামেডান ক্লাব সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি বলেন, "বাঙ্কার হিলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আইএসএলে উঠে এসেছি। এবার পাশে পেয়েছি শ্রাচীকেও। আশা করব দল আইএসএলে ভালো ফল করবে।"
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’ প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ী অবনীর, জার্সি উপহার দিলেন শীতল দেবী]
সেই জন্য এক ঝাঁক নতুন ফুটবলার দলে নিয়েছে তাঁরা। ফরওয়ার্ড সিজার মানজোকিকে সই করিয়েছে সাদা-কালো ব্রিগেড। গৌরব বোরা, অমরজিৎ সিং কিয়াম, রোচারজেলা, মাকান ছোটের মতো আইএসএলে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফুটবলারদের সই করিয়েছে কলকাতার ক্লাব। এবার কিশোর ভারতীতে অভিযানে নামবে মহামেডান। ঘরের মাঠে বিরাট সমর্থনও শক্তি হবে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: এক ঝাঁক নয়া তারকা, সঙ্গে কুয়াদ্রাতের মগজাস্ত্র, নতুন মরশুমে ভেলকি দেখাবে ইস্টবেঙ্গল?]
তবে প্রথম আইএসএলে খেলার চাপ সঙ্গী হতে পারে ব্ল্যাক প্যান্থারদের। মরশুমের শুরুতেই ডুরান্ড কাপেও সাফল্য আসেনি। একঝাঁক নতুন ফুটবলার এলেও বিদায় নিয়েছেন এডি হার্নান্দেজ ও ডেভিড লালসানসাঙ্গা। গত মরশুমে তাদের সাফল্যে এই দুই ফুটবলারের অবদান ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আই লিগে তাদের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন হার্নান্দেজ এবং ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিলেন ডেভিড। তাঁদের অভাব পূরণ করার পাশাপাশি দল হিসেবে সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠাও লক্ষ্য থাকবে আন্দ্রে চেরনিশভের ছেলেদের।