মোহনবাগান-২ রেনবো-২
(সুহেল-২) (সৌরভ, রাজন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পয়েন্ট নষ্ট করল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। শনিবার কলকাতা লিগে মোহনবাগান ও রেনবো ম্যাচ ২-২ গোলে শেষ হল। পয়েন্ট নষ্ট করায় মোহনবাগান শিবিরে কিন্তু অস্বস্তি বাড়ল। ভবানীপুরের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচও ড্র করেছিল সবুজ-মেরুন শিবির।
শনিবারের ম্যাচ জিততেই পারত মোহনবাগান। দিনান্তে ম্যাচ হল ড্র। এর জন্য পুরো কৃতিত্ব প্রাপ্য রেনবোর। বিরতির ঠিক পাঁচ মিনিট আগে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেয় তারা। প্রথমার্ধেই চারটি গোল হল। দ্বিতীয়ার্ধে কোনও দল আর গোল করতে পারেনি। কিন্তু গোলাগুলি বর্ষণ করে দুদলই। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে মোহনবাগান একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করলে মোহনবাগান হয়তো পুরো পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ত।
[আরও পড়ুন: অভিষেকেই কোপার শেষ চারে, ইতিহাস গড়ে মেসিদের মুখোমুখি কানাডা]
দুপ্রান্ত থেকে ভেসে আসা সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে প্রথমার্ধে দুটো গোল করেন সুহেল। দুক্ষেত্রেই রেনবো গোলকিপার শিল্টন পালের আউটিংয়ে সমস্যা ছিল। সুহেলের প্রথম গোলটি দুর্দান্ত। টাইসনের ভাসানো বলে বিষ ঢালেন তিনি। শিল্টন বলের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে এগিয়ে এসেছিলেন। মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলটির ক্ষেত্রেও শিল্টনেরই ভুল রয়েছে। এক্ষেত্রেও তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। হেডে সুহেল ২-০ করেন।
এর পরেই ম্যাচের ভোলবদল। সৌরভ দাশগুপ্তর দুর্দান্ত ফ্রি কিক থেকে ব্যবধান কমায় রেনবো। একটা গোল হওয়ার পরে রেনবোর ফুটবলারদের শরীরী ভাষা বদলে যায়। সমতা ফেরানোর নেশায় মরিয়া হয়ে ওঠে তাঁরা। প্রাক্তন ফুটবলার শিশির ঘোষ কিন্তু মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজোরই সমালোচনা করেন। তাঁর যুক্তি, দুগোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় মোহনবাগান রক্ষণের উপরে জোর দিতে পারত। সেই রাস্তা না নিয়ে আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে নিজেদের বিপন্ন করে সবুজ-মেরুন।
পেনাল্টি থেকে গোল করে রেনবো ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে। এক্ষেত্রে পেনাল্টি বক্সের ভিতরে রেনবোর রাজন বর্মণকে ফেলে দেওয়া হলে রেফারি পেনাল্টি দেন রেনবোকে। পেনাল্টি থেকে রাজন বর্মণ সমতা ফেরান।
দ্বিতীয়ার্ধে দুদলই আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে মেতে ওঠে। রেনবোর গোলকিপার শিল্টন পাল নজর কাড়েন। বহুযুদ্ধের সৈনিক তিনি। প্রথমার্ধে যে দুর্বলতা দেখা গিয়েছিল শিল্টনের খেলায়, দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ তৎপরতার পরিচয় দেন তিনি। তাঁর ক্ষিপ্রতায় মোহনবাগান গোল করতে পারেনি। আবার খেলার শেষের দিকে তাঁর সামান্য ভুলেই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন। কিন্তু রেনবোর জালে বল জড়াতে পারেননি সুহেলরা।
এদিকে অন্য ম্যাচে ভবানীপুর ৫-১ গোলে হারাল কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনকে।