প্রসূন বিশ্বাস: ঘরোয়া লিগে বহু বছর পর ডার্বি। তার উপর লিগের ডার্বির শতবর্ষ। উন্মাদনা ফেটে পড়ার কথা ছিল। এই দুটো কারণেই। কিন্তু ঘরোয়া লিগের ডার্বির আগে দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে যত আলোচনা আনোয়ার আলিকে নিয়ে। ডার্বির চব্বিশ ঘণ্টা আগে মোহনবাগান অনুশীলনেও ডার্বি নয়, আলোচনার একটাই বিষয়, আনোয়ার আলি। এদিন যুবভারতীর অনুশীলনে যে ক’জন সবুজ-মেরুন সমর্থক এসেছিলেন তাঁরাও ডার্বির চেয়ে বেশি আলোচনায় মেতেছিলেন ভারতীয় ডিফেন্ডারকে নিয়ে। এর মধ্যেই সুহেল ভাটদের কাছে ডার্বি জয়ের আব্দার করে গেলেন তাঁরা।
তবে আনোয়ার ইস্যু যাতে বর্তমান দলের উপর প্রভাব না পড়ে সে নিয়ে সতর্ক মোহনবাগান কোচ কার্ডোজো। যদিও ডার্বিতে নামার আগে কয়েকজন ফুটবলারের চোট কিছুটা চিন্তায় রেখেছে মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজোকে। এই দলে দুরন্ত ফ্রি-কিক নিতে পারেন যিনি, সেই শিবাজিৎ সিং চোটের জন্য এদিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। আশিক কুরুনিয়ানকে কলকাতা লিগের জন্য রেজিস্ট্রেশান করালেও তিনি ফিট নন, তাঁকেও এই ম্যাচে খেলাতে পারবেন না কার্ডোজো।
[আরও পড়ুন: মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ, ডেভিড-বিষ্ণুরাই বাজি ইস্টবেঙ্গলের]
তার উপর গত দু’ম্যাচে পরপর ড্র করায় কিছুটা চাপে সবুজ-মেরুন শিবির। এদিন অনুশীলন শুরুর আগেই মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, কলকাতা লিগের জন্য আনোয়ার আলি, আর্শ আনোয়ার আর গ্লেন মার্টিন্সকে কলকাতা লিগের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আইএফএ-সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত পর্যন্ত আনোয়ারের সিএমএস করা হয়নি।
তবে নিশঃব্দে ডার্বির প্রস্তুতি নিচ্ছেন কার্ডোজো। যেহেতু ম্যাচ শুরু দুপুর সাড়ে তিনটের সময়। ম্যাচ টাইমে সুহেল ভাটকে অনুশীলন করাচ্ছেন তিনি। দলের প্রথম একাদশে আসতে চলেছেন সুমিত রাঠি, দীপেন্দু বিশ্বাস। গত ম্যাচেই যোগ দিয়েছেন অভিষেক সূর্যবংশী। এই ফুটবলাররা শনিবার কার্ডোজোর ভরসা হতে পারেন। এদিন গ্লেন মার্টিন্স, দীপেন্দু বিশ্বাসরা পুরোদমে অনুশীলন করলেন। কার্ডোজো সুহেলদের দীর্ঘক্ষণ সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করালেন। সুমিত রাঠি, দীপেন্দু বিশ্বাসরা প্রথম একাদশে ফিরলে রক্ষণভাগ শক্তিশালী হবে মোহনবাগানের। গত দুই ম্যাচেই দেখা গিয়েছে প্রথমে গোল করেও সেই গোল ধরে রাখতে পারেননি মোহনবাগানের রক্ষণ ভাগের ফুটবলাররা।
ডার্বিতে রক্ষণের দূর্বলতা কাটিয়ে গোল ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ সবুজ-মেরুন কোচের। অন্যদিকে প্রতিপক্ষে ডেভিডের মতো সুযোগ সন্ধানী ফুটবলারকে ধরতে হলে রক্ষণকে আঁটোসাটো করে রাখাই বড় কাজ কার্ডোজোর।