স্টাফ রিপোর্টার: হারের হ্যাটট্রিক। আইএসএলের ইতিহাসে যা আগে কখনও দেখেননি সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। কোচ জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) জমানায় সেই দৃশ্যও দেখতে হল মোহনবাগান সমর্থকদের। তাতে অবশ্য কোচের চেয়ার এই মুহূর্তে টলমল হচ্ছে না। যদিও বুধবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে ম্যাচের পর সমর্থকরা ‘গো ব্যাক ফেরান্দো’ ধ্বনি তোলেন। কিন্তু সবকিছু ভুলে ফেরান্দো-সহ মোহনবাগান (Mohun Bagan) টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায় ঘুরছে সুপার কাপ। কিন্তু দারুণ দল হওয়া সত্ত্বেও কেন এমন ব্যর্থতা?
উত্তর দিয়ে গিয়েছেন একদা মোহনবাগানের ঘরের ছেলে, বর্তমানে কেরালা ব্লাস্টার্সের ফুটবলার প্রবীর দাস। বুধবার ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে প্রবীর বলছিলেন, “সাফল্য পেতে গেলে স্থানীয় ফুটবলার দরকার, যারা মোহনবাগানের আবেগটা বোঝে। একইসঙ্গে ড্রেসিংরুমে লিডারের প্রয়োজন, যে খারাপ সময়ে নেতৃত্ব দিতে পারে। আমাদের সময় মোহনবাগানের ড্রেসিংরুমে এমন কয়েকজন নেতা ছিল।”
[আরও পড়ুন: হেরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান দখলের স্বপ্ন অধরা আর্সেনালের, হার টটেনহ্যামেরও]
হারের হ্যাটট্রিকে কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচের পর দৃশ্যত ভেঙেই পড়েছিলেন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তার রেশ ছিল সাংবাদিক সম্মেলনে। ভগ্ন হৃদয়ে বলছিলেন, “জানি এই মুহূর্তে অনেকেই আমার বিরোধী। কিন্তু ফুটবলাররা অনেকেই ছোটখাটো চোট নিয়ে খেলতে নেমেছিল। সেটা তাদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলছে। শুরুতে গোল খেয়ে যাওয়ার পর আরও বড় ব্যবধানে হারের ভয়ও ওদের উপর চেপে বসেছিল।”
এই পরিস্থিতিতে সুপার কাপে ভালো ফলের লক্ষ্যে তৈরি হতে চাইছে মোহনবাগান। আপাতত চারদিন ছুটি কাটিয়ে ফের মাঠে ফিরবেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। কিন্তু সেখানেও কাজটা সহজ হবে না জুয়ান ফেরান্দোর জন্য। সেসময় কাতারে এশিয়ান কাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে ভারত। আর মোহনবাগানের অধিকাংশ তারকা ফুটবলারই তখন খেলবেন জাতীয় দলের হয়ে। ফলে সুপার কাপের ডার্বিতে দল সাজানো চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে ফেরান্দোর।
কারণ জনা দুয়েক ফুটবলার বাদে প্রায় পুরো দলটাই হাতে পাবেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ফেরান্দোর জন্য স্বস্তির বিষয়, সুপার কাপে প্রথম একাদশে রাখা যাবে ছয় বিদেশিকে। তবে ভুবনেশ্বরে ভালো ফল না হলে স্প্যানিশ কোচের চেয়ার সত্যিই টলমল করবে।