স্টাফ রিপোর্টার: শনিবার মোহনবাগানের নির্বাচনী বৈঠক থেকে মূলতঃ দু’টি বিষয়ের স্পষ্ট ছবি পাওয়া গেল। প্রথমত, তৈরি হয়ে গেল নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটার লিস্ট। দ্বিতীয়ত, স্পেশাল কমিটির দায়িত্বে থাকা তিন প্রাক্তন বিচারপতি স্পষ্ট করে দিলেন, ফুটবলারদের পেমেন্ট আটকে রাখার কোনও নির্দেশই দেননি মোহনবাগান সচিবকে।
[ ডিকার হ্যাটট্রিকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে উড়িয়ে দিয়ে ফের লিগ শীর্ষে মোহনবাগান]
প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হাই কোর্ট নিযুক্ত তিন প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়, সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় ও দিলীপ শেঠ। বিচারপতি অসীম কুমার রায় সরাসরি বলেন, ‘১৯ ও ২০ আগস্ট বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখি যে, আমাদের কোনও সদস্য নাকি অঞ্জন কুমার মিত্রকে ফুটবলারদের বেতন না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্কার বলি এই ধরনের কোনও নির্দেশ আমাদের কেউ দেয়নি। আমরা শুধু এটাই বলেছি হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও বড় খরচ করতে হলে কমিটির অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি তো দূর, ওঁরা আমাদের বিষয়টি জানাওনি। আমাদের এক সদস্য কোনও সূত্র মারফত টাকা ট্রান্সফারের কথা জানতে পেরে সচিবকে আদালতের অর্ডারটা মনে করিয়ে দেয়। অঞ্জন মিত্র দুঃখপ্রকাশ করে বলেন বিষয়টি হয়তো তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন।”
শনিবারের বৈঠকে তিন বিচারপতি সচিবকে যত দ্রুত সম্ভব ফুটবলারদের প্রথম মাসের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই মতো সচিব ক্লাবের অ্যাকাউন্ট থেকেই ফুটবলারদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। যা আদতে বৈধ নয়। কারণ এএফসি ও ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী ফুটবলারদের বেতনের টাকা দেওয়ার কথা কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে ফুটবলারদের স্বার্থের কথা ভেবে সচিবের এই অন্যায় আবেদনের বিরোধিতা করেননি কমিটির অন্যতম সদস্য সৃঞ্জয় বোস। তাই বড় স্পনসরদের নয়, ক্লাবের টাকাতেই প্রথম পেমেন্ট পেলেন ফুটবলাররা। সচিব গোষ্ঠীর বড় স্পনসর আনার কথা যে কেবলই পাবলিসিটি স্টান্ট, তা প্রমাণ হয়ে গেল আরেকবার। স্পেশাল কমিটির নির্দেশ , রাজ্য সরকারের দেওয়া ৫০ লাখ টাকায় হাত দেওয়া যাবে না। বৈঠকের পর সৃঞ্জয় বোস বলেন, “আমরা চাই না ফুটবলারদের পেমেন্ট আটকে রাখতে। ওরা যেভাবে চান পেমেন্ট করতে পারেন।” কিন্তু ভবিষ্যতে যদি এই নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হয়? সৃঞ্জয়ের বক্তব্য, ‘যখন ঢেউ আসবে তখন ঠিক করব লাফিয়ে পার করব, নাকি মাথা নিচু করে বসে যাব।‘ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও বর্তমান পরিস্থিতি জানায় কমিটি। আগামী মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তারপর ক্লাবে টাঙানো হবে ভোটার লিস্ট। কারও কোনও আপত্তি থাকলে লিখিতভাবে তা জানাতে হবে। পরে তা খতিয়ে দেখবে স্পেশাল কমিটি।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে ম্যাচের হাফটাইমে মাঠে গিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করেন মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র। ম্যাচের পর অধিনায়ক শিল্টন পালের হাতে চেক তুলে দেন তিনি। পেমেন্ট দেওয়া হয় বাকিদেরও। তবে কিংসলে-সহ বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে পেমেন্ট নিয়ে বিরক্ত। তাঁদের বক্তব্য, বেতন থেকে অতিরিক্ত কর কাটা নেওয়া হয়েছে।
[ মোহনবাগানে চূড়ান্ত ডামাডোল, বেতনের দাবিতে শংকরলালকে ঘেরাও ফুটবলারদের]
The post স্পনসর নয়, ক্লাবের টাকাতেই বেতন পেলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা appeared first on Sangbad Pratidin.