সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো শেষ। এবারের মতো বিদায় নিয়েছে উমা। আকাশে-বাতাসে বিষাদের সুর। কিন্তু তারই মধ্যে শহরবাসীর, বলা ভাল মোহনবাগানভক্তদের মন ভাল করে দিলেন একজন। যিনি বিদেশি হয়েও সবুজ-মেরুনের ঘরের ছেলেই হয়ে উঠেছেন। রবিবার গভীররাতে শহরে পা রাখলেন সোনি নর্ডি।
[ছন্দহীন ফুটবল খেলেও জামশেদপুর থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে এটিকে]
দীর্ঘ আট বছর পর ঘরোয়া লিগ এসেছে গঙ্গাপারের তাঁবুতে। এবার আই লিগের আগে মিলল বোনাস। ১০ মাস পর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফের শহরে সোনি। আরও একবার নিজের প্রিয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন তিনি। আরও একবার নিজের অনুগামীদের নিজের খেলায় মোহিত হওয়ার সুযোগ করে দিলেন। দোহা থেকে কলকাতায় আসা ফ্লাইট নির্ধারিত সময় ২টো ১০ মিনিটের আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। সৃঞ্জয় বোস ও দেবাশিস দত্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন দমদম বিমানবন্দরে। ক্লাবের চোখের মণিকে তাঁরাই হোটেল পর্যন্ত পৌঁছে দেন। তাঁদের হাত ধরেই তো আবার মোহনবাগানে ফেরা। তাই কলকাতা এসেই তাঁদের পাশে পেয়ে আবার সবকিছু আগের মতোই অনুভূত হচ্ছে সোনিরও। মুখের চওড়া হাসিই বলে দিচ্ছে তিনি কতটা খুশি।
হাইতিয়ান তারকাকে দলে নিতে কর্তাদের কাছে একপ্রকার অনুনয়-বিনয়ই করেছিলেন সমর্থকরা। কর্তারাও তাঁকে নিতে আগ্রহী ছিলেন ঠিকই। কিন্তু সোনির কোনও চোট সমস্যা রয়েছে কিনা, সেটাই ছিল চিন্তার কারণ। তবে সমস্যার সমাধান হলে তাঁকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যায়। যতদিন সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলেছেন, মন ভরিয়েছেন। এবার আই লিগের আগে বাড়তি মাইলেজ পেয়ে গেল ক্লাব। স্টেনগান ম্যানকে স্বাগত জানাতে সাজ-সাজ রব পড়ে গিয়েছিল সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে। শয়ে-শয়ে সমর্থক মাঝরাতে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির হয়েছিলেন। শুধু এ শহরের ফুটবলপ্রেমীরাই নন, দুর্গাপুর, আসানসোল থেকেও এসেছিলেন সোনি-ভক্তরা। শুধু তাই নয়, বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়ার পথে সোনির গাড়িকে রীতিমতো ‘এসকর্ট’ করে নিয়ে গেলেন একদল সমর্থক। এই টানেই তো ফেরা। আর শহরে পৌঁছেই বুঝে গেলেন, সমর্থকরা আগের মতোই তাঁর পাশে রয়েছেন। ভক্তদেরও আশা, হাইতিয়ান ম্যাজিশিয়ানের হাত ধরেই আরও একবার তাঁবুতে আসবে আই লিগ।
The post গভীররাতে শহরে পা সোনির, বিমানবন্দরে আবেগে ভাসলেন সমর্থকরা appeared first on Sangbad Pratidin.