দুলাল দে: রাত পোহালেই মহারণ। ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি। যুবভারতীতে সেই ম্যাচ নিয়ে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। কিন্তু সেখানে টিফো নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। সেই সঙ্গে স্মোক ক্যান্ডেলস ও কিংবা অন্যান্য দাহ্যপদার্থ নিয়ে ঢোকে যাবে না। পুলিশের তরফ থেকে সেই বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
তাদের তরফ থেকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু দুটি দলকেই সেই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডুরান্ড কমিটিকেও সেটা জানানো হয়েছে। সমর্থকদেরও এই জিনিসগুলো না আনার ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় মুখোমুখি হবে দুই দল। কোয়ার্টার ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে সেমির যোগ্যতা অর্জন করেছে মোহনবাগান। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে বেঙ্গালুরু শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সকে।
[আরও পড়ুন: আইসিসি চেয়ারম্যানের লক্ষ্যে জয় শাহ, বিসিসিআই সচিব পদের দৌড়ে অরুণ জেটলির ছেলে!]
ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে যুবভারতীতে ডার্বি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়। ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে মোকাবিলা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উন্মাদনা সবুজ-মেরুন ভক্তদের মধ্যে। গতবারের ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। ফাইনালে তারা হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। যদিও এবার ডুরান্ডে লাল-হলুদের সঙ্গে ম্যাচ হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। শিলং লাজংয়ের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: থামল ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই, প্রয়াত ইংল্যান্ডের প্রাক্তন কোচ এরিকসন]
কিন্তু মোহনবাগানের কাছে ফের ডুরান্ডজয়ের সুযোগ। টিফো থাকুক বা না থাকুক, সমর্থকরা যে উজ্জীবিত থাকবেন সেই কথাই বলাই বাহুল্য। ফাইনালও যুবভারতীতে। সেই লড়াইয়ে নামতে হলে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে মহড়া জিততেই হবে মোলিনার দলকে।