প্রসূন বিশ্বাস: উৎসবের সব বন্দোবস্তই করা ছিল। কিন্তু সে সবই যেন বৃথা হয়ে গেল। ম্যাচ হারের পরেই হতাশায় মাঠে বসে পড়েছিলেন মোহনবাগান (Mohun Bagan) অধিনায়ক শুভাশিস বসু (Subhasish Bose)। উলটো দিকে জয়ের উল্লাসে তখন মুম্বই কোচ পিটার ক্রাটকিকে শূন্য ছুঁড়ছিলেন ছাংতেরা। তখনও যেসব মোহনবাগান সমর্থক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা দেখলেন এই দৃশ্যগুলোই। অথচ এদিন বিকেলে যখন মোহনবাগান টিম বাস হোটেল থেকে মাঠে এল, তখন সেই টিম বাসকে স্টেডিয়ামে ‘এসকর্ট’ করে আনলেন চারজন ঘোড়সওয়ার মোহনবাগান সমর্থক। জিতলে আরও কত কিছুই না হত।
ম্যাচ শেষে কামিংসদের এই হতাশার প্রতিচ্ছবি যেন কয়েক ঘণ্টা আগেও আঁচ করতে পারেননি মোহনবাগান সমর্থকরা। নিঃশব্দে স্টেডিয়াম ছাড়লেন দিমিত্রিরা। তার বহু আগেই চলে গিয়েছেন সমর্থকরা। মোহনবাগান জিতলে শুভাশিসদের এই পথটাই ফুল ছড়ানো থাকত। আবিরে, উল্লাসে ভেসে যাওয়ার যাপন চিত্রে মেতে উঠতেন হাজার হাজার সবুজ-মেরুন জনতা। কিন্তু সে সব কিছুই হল না। বরং গ্যালারি থেকে বাড়ির পথে হাঁটতে হাঁটতে তাঁদের অনেকের গলাতেই হতাশার সুর, “ইস্ ত্রিমুকুটের এত কাছে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে। এই আফশোস থাকবে অনেক দিন।”
[আরও পড়ুন: ভারতীয় কুস্তিমহলে বড় ধাক্কা! ডোপিং বিতর্কে সাসপেন্ড বজরং, পালটা জবাব কুস্তিগিরের]
তবুও লিগ শিল্ড জয় হয়েছে। প্রথমবার লিগ শিল্ড জয়ের প্রাপ্তিটাও কম কিছু নয়। যদিও টুর্নামেন্টের সেরা হয়েও হতাশা যেন সঙ্গ ছাড়ছিল না দিমির। এত কাছে এসেও ট্রফি না পেয়ে হতাশ দিমিত্রি পেত্রাতোস বলছিলেন, “আজ আমাদের দিন ছিল না। আমরা সবাই চেষ্টা করেও জিততে পারিনি। তবে আমি গর্বিত মাঠে সবাই ১০০ শতাংশ দিয়েছে।” আশা করছেন আগামী মরশুমে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: বার্সার হারে পোয়া বারো রিয়ালের, ৩৬ তম লা লিগা খেতাব নিশ্চিত করলেন ভিনিসিয়াসরা]
আপাতত এই মরশুম শেষ। এবার তাকানো সামনের মরশুমের দিকে। মরশুম শেষের দিনই জেসন কামিন্স বলে গেলেন আগামী মরশুমের পরিকল্পনা নিয়ে। এখন থেকেই কামিন্সরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন আগামী বছরের এসিএল টু নিয়ে। শিল্ড জয়ের সৌজন্যে মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পেয়েছে। এদিন তিনি বলেন, “আমরা ভালো মরশুম কাটালাম। সমর্থকরা অনেক গলা ফাটিয়েছেন সারা মরশুমে। আজ আমরা সেরাটা দিতে পারলাম না। এই মরশুমটা খুব ভালো উপভোগ করেছি। পরের মরশুমে আরও ভালোভাবে ফিরব। ACL 2-ই আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে চ্যালেঞ্জটা কঠিন হবে।”